করোনা আবহে চীনের উপর আক্রোশ বাড়ছে গোটা বিশ্বের! বাধ্য হয়েই এবার বড়সড় পদক্ষেপ নেবে WHO? আন্তর্জাতিক August 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত বছরের ডিসেম্বর মাস। হঠাতই এক অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছিলো চীনের উহান প্রদেশের মানুষজন। সেই জ্বরের উৎস খুঁজতে সামনে আসে করোনা ভাইরাসের কথা। ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে, ইতিমধ্যে করোনা গ্রাস করে ফেলেছে গোটা বিশ্বকে। সেই প্রভাব এখনও পর্যন্ত ভোগ করে চলেছে মানুষ। শুরু থেকে অনেক দেশই চাইছিল করোনার উৎস নিয়ে তদন্ত হোক। উহানের ল্যাবরেটারি থেকেই এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি, নাকি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে এটি, সেই সত্যি প্রকাশ্যে আসুক। চিনের বিরুদ্ধে তদন্তের এই দাবি বহুদিন ধরেই উঠছিল। আমেরিকা অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছে যে এই ভাইরাস মনুষ্যসৃষ্ট। উহানের বাজার থেকে প্রাকৃতিক উপায় এটি তৈরি হয়নি, বরং চীনের ল্যাবরেটারিতে কৃত্রিমভাবে এটিকে তৈরি করা হয়েছে। বহুদিনের এই বিতর্কে প্রমাণ, পালটা যুক্তি চলছেই। ইতিমধ্যে করোনার উৎস যে ইউহানের গবেষণাগার, এই তত্ত্ব প্রমাণ করতে আমেরিকা ২০১৮ সালে চিনের দূতাবাস কর্তাদের সঙ্গে বিদেশ দপ্তরের আলোচনার একটি অভ্যন্তরীণ ও গোপন কেবল প্রকাশ্যে আনে। ফলে আগুনে ঘি পড়ে। এতদিন কোনও না কোনও অজুহাতে উহানে গিয়ে তদন্তের বিষয় আটকে দিচ্ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু এবার চাপ বাড়ার ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই চিনে করোনার আঁতুড়ঘর উহানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে তারা। জানা গেছে, এই দলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন আর উহানে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে করোনার উৎপত্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন। উহান গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী এবং এটি মধ্য চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহর। এটি হান নদী ও ইয়াংসিকিয়াং নদী প্রান্তের মধ্যবর্তী সীমান্তে পূর্ব জিয়ানগাঁ সমভূমিতে অবস্থিত। তিনটি শহর, ভুচং, হানকু এবং হানয়াইং-এর সংঘটিত হওয়ার ফলে উহানকে ‘চীনের থোয়ারফার’ (ঝিনাইদহ) নামে অভিহিত করা হয়। হান শহরের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি রেলপথ, মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ে মধ্য দিয়ে চলেগেছে এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে তাই এটি একটি প্রধান পরিবহন হাব হিসেবে পরিচিত। অভ্যান্তরীণ পরিবহনে এর মূল ভূমিকার কারণে, উহানকে কখনও কখনও বিদেশের উৎস দ্বারা “চীনের শিকাগো” বলা হয়। এমন একটি প্রদেশে যে এমন মারাত্মক ভাইরাসের জন্ম দিতে পারে সে নিয়েই এখন চলবে গবেষণা। হু কর্তার কথায়, চিনের আধিকারিকরা এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সহযোগিতা করবে এবং সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার তথ্য দিয়ে এই ভাইরাসটির উৎপত্তির কারণ বুঝতে সাহায্য করবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -