এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা-আমপান এখন অতীত, বাংলার ঘুম ওড়াতে এবার হাজির তৃতীয় উপসর্গ! ক্রমশ বাড়ছে চিন্তা!

করোনা-আমপান এখন অতীত, বাংলার ঘুম ওড়াতে এবার হাজির তৃতীয় উপসর্গ! ক্রমশ বাড়ছে চিন্তা!


একদিকে করোনা ভাইরাস আর অন্যদিকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপট। এই দুইয়ের ফলে একেই বিপর্যস্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গ। আর এর মাঝে এবার ডেঙ্গুর দাপট রীতিমতো ভীতির সৃষ্টি করল। জানা গেছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় গত তিন মাসে এই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় কুড়ি জন বাসিন্দা। একদিকে করোনা ভাইরাসের ফলে এমনিতেই গোটা জেলা আতঙ্কিত। তারমধ্যে এবার ডেঙ্গুর প্রভাব চলে আসায় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকে আশঙ্কায় প্রহর গুনতে শুরু করেছেন। কিভাবে গোটা পরিস্থিতিকে সামলানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়তে শুরু করেছে প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর ভুটানের ফুন্টসোলিং সীমান্ত থেকে গোটা জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে প্রায় 3500 জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল তিন জন ব্যক্তির। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এবার বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত না হলেও, কুড়িজন আক্রান্ত হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর করোনা ভাইরাসের মধ্যে যদি এই নতুন রোগের প্রকোপ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কালঘাম ছুটবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের আশঙ্কা, জুন মাসে জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটাই বাড়তে পারে। কিন্তু একদিকে করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ, এই দুইয়ের ফলে যদি এই রোগ ভয়াবহ আকার নেয়, তাহলে কিভাবে তা সামাল দেওয়া হবে? জানা গেছে, ইতিমধ্যেই জয়গা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ভবনে স্বাস্থ্য দপ্তর, জেডিএ কর্তৃপক্ষ এবং জেলাপরিষদকে নিয়ে একটি বৈঠক করে। সেখানে ডেঙ্গিতে আটকাতে কী কী কর্মসূচি নেওয়া যায়, তার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার অনেকটাই কম। করোনা মোকাবিলার সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধেও নামা হচ্ছে। তবে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা সব রকম ভাবে ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

তবে প্রশাসনিক কর্তা এই ব্যাপারে যে কথাই বলুন না কেন, যত দিন যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। এখন একদিকে করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্যোগ এবং তার মাঝখানে এসে পড়া ডেঙ্গু আটকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগ কতটা সফলতা পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!