এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা কাল মিটতেই এবার নতুন সমস্যা, চিন্তায় অফিসকর্মীরা

করোনা কাল মিটতেই এবার নতুন সমস্যা, চিন্তায় অফিসকর্মীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছরের শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছিল করোনা ঝড়। সেই ঝড় সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছিল সারা বিশ্বকে। একটু একটু করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলোতে। যদিও ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাচ্ছে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বকেই গৃহবন্দী হতে হয়েছে। মানুষের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। ঘরে বসেই কাজ সারতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে করোনা কালে work from home এর ওপর জোর দিয়েছিল প্রতিটি সংস্থা। ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশে এখন করোনাকাল ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। তাই আবার আগের মতো পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

কিন্তু সেক্ষেত্রে ঘর ছেড়ে অফিস ফিরতে আর রাজি হচ্ছেন না অনেকেই। এবং এই রকম অসুবিধার মুখে পড়েছে মার্কিন দেশের বিভিন্ন সংস্থা। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘসময় বাড়ি থেকে অফিস করার পর এখন অফিস যেতে বলা হয় রীতিমতো চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলা যায়, 1000 জনের মধ্যে অফিস যেতে বলায় চাকরি ছাড়ছেন 39 শতাংশ মানুষ। এক্ষেত্রে চাকরিজীবীদের যুক্তি হলো, বাড়ি থেকে কাজ করলে সংস্থার কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। বরং কাজ ভালোভাবে হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অফিস যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অফিস কর্তাদের দাবি, অফিসে গিয়ে কাজ করলে যে কোম্পানি কালচার তৈরি হয় সেক্ষেত্রে বাধা পড়ছে। পাশাপাশি সকলে মিলে কাজ করলে একে অপরের সঙ্গে যে ঐক্য তৈরি হয়, তা হবার আর কোন সুযোগ থাকবেনা যদি বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ বরাবরের মতো দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে work-from-home অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করার পরিস্থিতি ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা। কিন্তু পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন আগের মত অফিসে এসে কাজ করার ব্যাপারটাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে বেশিরভাগ অফিস। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ি থেকে অফিস করলে একটা মোটা খরচা হাতে থেকে যাচ্ছে।

কারণ এক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচা লাগছে না। এবং এই ছবি শুধু মার্কিন মুলুকেই নয়, অন্যান্য দেশেও প্রায় একই কথা শোনা যাচ্ছে। তবে ভারতে পরিস্থিতি অন্য। এখন সেখানে দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরবর্তী সময়ে ভারতে চাকরিজীবীদের জন্য কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে, তার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন গতি নেই। তবে এক্ষেত্রেও সেই একই ছবি দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!