এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা মোকাবিলায় খরচ বাড়ছে! সুযোগ পেতেই মোদির কাছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা চেয়ে বসলেন মমতা!

করোনা মোকাবিলায় খরচ বাড়ছে! সুযোগ পেতেই মোদির কাছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা চেয়ে বসলেন মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সারাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের করোনা চিত্রটি সার্বিকভাবে মোটামুটি এক। দীর্ঘদিন ধরেই করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত। তার মধ্যেই নিত্য নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে করোনা। করোনার গ্রাফ এখনো পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যে। রেকর্ড সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কোভাস উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যে বৈঠক হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর, সেখানেই তিনি এবার করোনা পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্য আর্থিক সহায়তা চাইলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে করোনা যুদ্ধে রাজ্যের খরচ হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আগামী দিনে রাজ্যের আরও টাকা প্রয়োজন।

আর এরপরই তিনি খতিয়ান দেন কেন্দ্রের তরফ থেকে পাওয়া টাকা নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে মাত্র 125 কোটি টাকা। অন্যদিকে রাজ্যের পাওনা রয়েছে 53 হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও জিএসটিতে রাজ্যের ভাগ পাওনা রয়েছে কেন্দ্রের কাছে 4135 কোটি টাকা। এর সাথে রাজ্যের ঘূর্ণিঝড় আমফান পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে 35 হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু পাওয়া গিয়েছে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়া হলে কেন্দ্র বারবার বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে খরচ করার কথা বলছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মতে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে যদি করোনা ছাড়াও অন্য কোনো বিপর্যয় নেমে আসে, তাহলে সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে খরচ করতে হবে। তাই করোনার জন্য আলাদা তহবিল গঠন করার পক্ষে তিনি। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা টেস্ট করার জন্য 81 টি ল্যাব রয়েছে, কিন্তু প্রয়োজন আরও বেশী ল্যাবের।

অন্যদিকে রাজ্যে 106 টি সেফ হাউস তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার সাথেই প্লাজমা ব্যাংক এবং কোভিড ক্লাবও তৈরি হয়েছে। তার খরচও যথেষ্ট ব্যয়সাধ্য বলে জানা গেছে। তবে রাজ্যে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক না করার পেছনে আর্থিক অভাবের কারণটিকেই এদিন স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে করো না পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ফিরে এসেছে সাপ্তাহিক লকডাউন। তবে এই লকডাউনের কারণে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। আপাতত রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে করোনা যুদ্ধে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেদিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!