এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > উদ্ধব থেকে গেহলত! বিরোধীদের সরকার বাঁচানোর মসিহা সেই প্রধানমন্ত্রী মোদী? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

উদ্ধব থেকে গেহলত! বিরোধীদের সরকার বাঁচানোর মসিহা সেই প্রধানমন্ত্রী মোদী? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ এক উল্টো ছবি। বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য বিরোধীদের সাহায্য নিতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিছুদিন আগেই এরকম একটি ছবি চোখে পড়ে মহারাষ্ট্রে। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা পরিষদের নির্বাচন থমকে যায়। সেসময় অনেকেরই চিন্তাভাবনায় এসেছিল, এই নির্বাচন যদি না হয় তাহলে উদ্ধব ঠাকরে পরবর্তীতে আর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকছেন না। আর সেই সুযোগে সরকার গড়বে বিজেপি।

কিন্তু আদপে দেখা গেল ঘটনা পুরো অন্য। উদ্ধব ঠাকরে সোজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হন। আর তারপরেই করোনা পরিস্থিতিতেও মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোট সুসম্পন্ন হয় মহারাষ্ট্রে। এবং যথারীতি মুখ্যমন্ত্রীর গদি টিকে যায় উদ্ধব ঠাকরের। অন্যদিকে রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট জটিল বলে জানা যাচ্ছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে চাইলেও সেখানকার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র ইতিমধ্যে দু-দুবার তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন।

আর এই প্রসঙ্গে অশোক গেহলোট তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কোনো নির্বাচিত সরকার যদি বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে চায় তাহলে রাজ্যপাল সেই অনুমতি দিতে বাধ্য। গত সপ্তাহেও রাজ্যপালের কাছে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই সময় রাজ্যপাল রীতিমত চিঠি দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন রক্ষা করা সম্ভব নয়। কারণ, অধিবেশন কবে থেকে শুরু হবে বা কি কি আলোচনা হবে বিধানসভার অধিবেশনে তার স্পষ্ট কোন ছবি ছিলনা।

এর সাথে রাজস্থানের রাজ্যপাল আরও জানান, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের বিষয়টি যেহেতু এখনো আদালতের বিবেচনাধীন তাই বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ব্যাপারটি এইমুহুর্তে সম্ভব হচ্ছেনা রাজ্যপালের পক্ষে। আর তারপরই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে কংগ্রেস তাঁদের পিটিশনটি তুলে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আবেদন করেন রাজ্যপালের কাছে। তাতে নির্দিষ্ট করে বিধানসভার অধিবেশন কবে থেকে হবে এবং কি কি আলোচনা হবে সেসব স্পষ্ট করে বলা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। আর তার কারণ হিসেবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে এত অল্প সময়ের নোটিশে বিধায়করা উপস্থিত নাও হতে পারেন। তাই তাঁদের তিন সপ্তাহ আগে নোটিশ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, বিধানসভা অধিবেশন হলে আস্থা ভোট হবে কি না? অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, আস্থা ভোট নেওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের এত তাড়াহুড়ো।

কারণ এই মুহূর্তে কংগ্রেসের হাতে 102 জন বিধায়ক রয়েছেন। যা ম্যাজিক ফিগারের এক বেশি। তাই চিন্তা বেড়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এই ম্যাজিক ফিগারকে ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে কংগ্রেসের পক্ষে। কারণ বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ইতিমধ্যে তাঁর বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন,   বিএসপি বিধায়করা যেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেন। এই অবস্থায় বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে পাইলট শিবিরের বেশকিছু বিধায়ককে গেহলট শিবিরে আনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু গেহলটের এই পরিকল্পনায় বারবার বাধা দিচ্ছেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। এবার অশোক গেহলট জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নালিশ জানিয়েছেন। আর তাই এবার বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, মহারাষ্ট্র সরকারের মতন সরকার বাঁচাতে রাজস্থানের অশোক গেহলট কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখাপেক্ষী হলেন? যদিও এখনো পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আপাতত রাজস্থানের পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে, সে দিকেই লক্ষ্য থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!