এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা রুখতে জোর তৎপরতা দেশজুড়ে, আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা

করোনা রুখতে জোর তৎপরতা দেশজুড়ে, আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা

নভেল করোনা ভাইরাস নিছক সাধারণ ফ্লু ভাইরাস নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিনের গঠন এর বদলে এই ভাইরাসের চরিত্রই বদলে গেছে। যার ফলে আরো সংক্রামক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। এত বেশি নিজেকে বদলাতে এই ভাইরাসের মতিগতি বোঝা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের মানুষ ত্রস্ত হয়ে রয়েছে করোনা ভাইরাস এর নামে। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে 885687 এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এই ভাইরাসকে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ মহামারী বা প্যানডেমিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে আশার আলো এটাই যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ এমনকি ভারতেও করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানী, গবেষকরা। এদিকে, ভারতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। মানুষের আতঙ্ক বাড়িয়ে একইসাথে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই মুহূর্তে ভারত করোনা সংক্রমনের স্টেজ থ্রীর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

ফলে যেকোনো মুহূর্তে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে করোনা থেকে রক্ষা পেতে সর্তকতা ও সচেতনতাই একমাত্র অস্ত্র। অন্যদিকে, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য মরণপণ লড়াই চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা যে পথ বেছে নিয়েছেন তাকেই সঠিক বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, আক্রান্তদের ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’ ও ‘ক্লাসটার কনটেনমেন্ট’ করে করোনা সংক্রমণ রুখে দেবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশের যেকোনো জায়গায় করনা আক্রান্তের খোঁজ মিললেই বিজ্ঞানী গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে শুরু করছেন। প্রথমে ‘ক্লাসটার কনটেনমেন্ট’ পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা খুঁজে বার করা হচ্ছে এবং তারপর সম্ভাব্য তালিকার মানুষদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবেই কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতিতে চলছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। অন্যদিকে গোষ্ঠী সংক্রমণ যাতে কোন ভাবেই ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ইতিমধ্যেই ভারত সরকার। তবে দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা যাঁরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে মেতে উঠেছেন, তাঁদের জন্য সরকার যথেষ্ট চিন্তা প্রকাশ করেছেন। কারণ, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলে তা হবে আরো বড় বিপদ। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও তুরস্কের মতন কয়েকটি দেশের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে বলে খবর।

ইতিমধ্যে আইসিএমআর এর পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যেখানে তাঁরা জানান ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি ও সি এস আই আর এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরীর কাজ চলছে। তবে প্রত্যেকেরই আশা, খুব শীঘ্রই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে এবং বিজ্ঞানীদের কাছে আশার বানী শুনে ভারতবাসীরাও আশায় বুক বাঁধেছেন বলে জানা গেছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি।

তার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আদৌ করোনাকে রুখতে পারবে কিনা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, করোনার সংক্রমণের ধরন দেখে এবং ঘন জনবসতির কারণে আমাদের দেশে করোনা দ্রুত সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। তাই এই মুহূর্তে বাড়িতে থাকাই একমাত্র ও প্রধান দায়িত্ব বলে ব্যাখ্যা করেছেন স্বাস্থ্য দপ্তর। করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনই সচেতন না হলে, সব নিয়ম না মানলে ব্যাপকভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি যৌথভাবে করোনা সংক্রমণকে রুখে দিতে লকডাউন এর আশ্রয় নিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!