এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে এবার কি বন্ধ হয়ে যাবে এই দুর্গাপুজো? আদালতে নতুন পদক্ষেপে ক্রমশ বাড়ছে দুশ্চিন্তা

করোনা আবহে এবার কি বন্ধ হয়ে যাবে এই দুর্গাপুজো? আদালতে নতুন পদক্ষেপে ক্রমশ বাড়ছে দুশ্চিন্তা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্য তাদের বিভিন্ন উৎসবের ক্ষেত্রে রাশ টেনেছে। করোনা সংক্রমণ কালে চলতি বছর দুর্গা পূজার উৎসব হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন অনেকেই। তবে, শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমনের মধ্যেও দূর্গাপূজার উৎসব করার অনুমতি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, করোনা সংকটকালে পুজো উদ্যোক্তা ক্লাবগুলি যাতে আর্থিক সংকটে না পড়ে সেজন্য ক্লাবগুলোকে ৫০০০০ টাকা আর্থিক অনুদানের কথাও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কালে দুর্গাপূজার আয়োজন করা কতটা সমীচীন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণকালে বারোয়ারি দুর্গাপূজা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা দায়ের করা হলো।

মামলাকারীদের পক্ষথেকে যুক্তি দেয়া হয়েছে যে, কেরালায় করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু কেরালা সরকারের পোঙ্গল উৎসবের অনুমতি দেওয়ার পরেই সেখানে হু হু করে বাড়তে থাকে করোনার সংক্রমণ। কেরালার কয়েকটি জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এছাড়া মহারাষ্ট্র সরকারও করোনা সংক্রমনের কারণে উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাঁরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে, গণেশ চতুর্থী মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উৎসব, কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণেই এবার গণেশ চতুর্থীর অনুমতি দেয়নি মহারাষ্ট্র সরকার।

প্রসঙ্গত দিল্লি সরকারও করোনা সংক্রমনের কারণে সেখানে দুর্গাপুজোর রাশ টেনেছে। দিল্লির একমাত্র চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়া হয়নি। এমনকি ঘট পুজোরও অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, ” দিল্লিতে পুজোর অনুমতি দেয়নি, আমি কিন্তু দিলাম।” প্রসঙ্গত রাজনৈতিকভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট রাজনৈতিক সখ্যতা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে দুজনের মধ্যে চিন্তাধারার যথেষ্ট পার্থক্য আছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার রাজ্য চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ থেকে দু সপ্তাহ আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যর চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, এবার দুর্গাপুজোতে রাশ টানতে। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, পুজোয় যদি অতিমাত্রায় জন সমাগম ঘটে। রাজ্য সরকার যদি ভিড় নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়, তাহলে পুজোর পর করোনা সংক্রমনের এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এত ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়বে যে, হাসপাতাল রোগীদের জায়গা দেওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। সম্প্রতি, সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে হাসপাতালে বেড অমিল হতে শুরু করেছে। পুজোর পর যদি করোনা সংক্রমণ আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে। তবে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে সংশয়ে আছেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত আগামীকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হাইকোর্ট এ বছরের দূর্গাপূজা বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই দৃষ্টি রাখছে সকলে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন যে, কোনো ধর্ম বা ভগবান কখনোই বলেননি যে, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাঁকজমকের সঙ্গে উৎসব পালন করতে হবে। ঘরে বসেই দেশবাসীকে উৎসব পালনের আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত দুর্গা পুজো বাঙালির জাতীয় উৎসব। বাঙালির আনন্দ, আবেগ-উচ্ছ্বাস সমস্ত কিছুই জড়িয়ে আছে এই উৎসবের সঙ্গে। কিন্তু সংক্রমণ তথা স্বাস্থ্যের দিকটাও উপেক্ষা করবার নয়। কারণ, এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অসাবধান হলে তা কি আকার ধারণ করবে। তা নিয়ে সংশয়িত অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!