এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা ভাইরাসের উপরের প্রোটিন লেয়ার ভাঙলেই থামানো যাবে অতিমারী? নতুন খোঁজে আশায় বিজ্ঞানী মহল

করোনা ভাইরাসের উপরের প্রোটিন লেয়ার ভাঙলেই থামানো যাবে অতিমারী? নতুন খোঁজে আশায় বিজ্ঞানী মহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন দেশ করোনা পরিস্থিতি চূড়ান্ত আশংকাজনক হয়ে উঠছে দিনদিন। এই মুহূর্তে সংক্রমণ এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে আক্রান্ত দেশগুলি এবার পরিত্রাহি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যানডেমিক রূপে ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। বিভিন্ন দেশের গবেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন এই মারণ জীবাণু মিউটেশন পদ্ধতিতে তার জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে নিজেই।

যার ফলে ক্রমাগত করোনা হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু এই অপ্রতিরোধ্য জীবাণুকেও এবার মারার ফন্দি আবিষ্কার করার রাস্তা দেখালেন একদল ভাওতীয় বিজ্ঞানী ও গবেষক। আর এ ব্যাপারে একদল বাঙালি বিজ্ঞানী দাবি করছেন, নভেল করোনা ভাইরাস মিউটেশন পদ্ধতিতে বারবার নিজের চরিত্র বদল করায় কোনো প্রতিষেধকই কাজ করতে পারছেনা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের উপরিতলে থাকা একটি ই-প্রোটিন বিশেষ বদল ঘটাচ্ছেনা নিজের।

তাই মনে করা হচ্ছে, যে ভ্যাকসিন এই প্রোটিনে আঘাত হানবে, সেই ভ্যাকসিন হবে সবথেকে বেশি কার্যকরী করোনা মেটাতে। সূত্রের খবর, ভারতের এই তত্ত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন এলসিভিয়ার সংস্থার জার্নাল জিনোমিক্স। জিনোমিক্স এর পক্ষ থেকে এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করার ব্যাপারেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের যে গবেষক দল এই তথ্য আবিষ্কার করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম সদস্য হলেন পিংলা থানা কলেজের গণিতের সহকারি অধ্যাপক শেখ শরীফ হাসান।

এই অধ্যাপক দীর্ঘদিন ধরে করোনা ভাইরাসের জিন সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করে চলেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর বিভিন্ন গবেষণা পত্র আন্তর্জাতিক জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে বলে খবর। এই শেখ শরীফ হাসান জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ ভ্যাকসিন করোনার স্পাইকে আঘাত করছে। কিন্তু স্পাইক প্রোটিন এখনো পর্যন্ত অজস্র মিউটেশন করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, যদি ভাইরাসের ই-প্রোটিনটির উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করা যায় তাহলে সেটি দ্রুত কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ এই ই-প্রোটিনের মিউটেশন প্রায় হয়নি বললেই চলে। জানা যাচ্ছে, ভারতের 441 জন রোগীর শরীরে জিন সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই গবেষণার সাথে জড়িত রয়েছেন ইইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কাল্টিভেশন ফর দ্য সায়েন্সেসের (আইএসিএস) স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের সিদ্ধার্থশঙ্কর জানা, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের (আইএসআই) অ্যাপ্লায়ড স্ট্যাটিসটিক্স ইউনিটের পবিত্র পালচৌধুরী এবং হিউম্যান জেনেটিক্স ইউনিটের বিদ্যুৎ রায়ের মতো গবেষকরা।

তাঁরা জানিয়েছেন, কিউআরএফ6 এবং কিউআরএফ10 প্রোটিন দুটির নামমাত্র মিউটেশন হয়েছে। তাই বিভিন্ন মাপকাঠিতে এই ই-প্রোটিন এগিয়ে। এক্ষেত্রে একজন গবেষক দাবি করেছেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ছাড়া বাকিরা করোনার স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করেি এগিয়ে চলেছে। যার ফলে প্রতিষেধক কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারছেনা। সেক্ষেত্রে এই গবেষণা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নতুন আলোর দিশারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারত এবং বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস যেভাবে দৌরাত্ম্য দেখিয়েছে, তাতে এই এনভেলাপ প্রোটিনটি ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব। একইভাবে সুদানের একদল গবেষকও এই এনভেলপ প্রোটিনকে টার্গেট করার সুপারিশ করেছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও ইউরোপ-আমেরিকার গবেষকরা অবশ্য দাবি করেছেন, এনভেলাপ প্রোটিনটিও যথেষ্ট মিউটেশন করে। তাই বিশ্বব্যাপী এই গবেষণা কার্যকর নাও হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে ভারত এবং বাংলাদেশে করোনার যে বিশেষ ধরনটি দেখা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে করোনার এই এনভেলপ প্রোটিনটি ধ্বংস করলে কিছুটা ফল মিলতে পারে বলে আশাবাদী গবেষকরা। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কোন অবস্থাতেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসছেনা। তবে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা করোনা সংক্রমণ আটকানোর জন্য যে রাস্তা অবলম্বন করার কথা বলছেন, তাতেই যথেষ্ট কার্যকরী ফল লাভ হবে বলে দাবি করছেন তাঁরা। আপাতত ভারতের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!