এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্থিমিত হবার মধ্যেই হাতছানি তৃতীয় ঢেউয়ের, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্থিমিত হবার মধ্যেই হাতছানি তৃতীয় ঢেউয়ের, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৫৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ঘটেছে ১৪২২ জনের। দৈনিক সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ৮২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিন্তু এর মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এইমস এর ডিরেক্টর ডা.‌ রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি আশঙ্কা করেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহু মানুষ আবার জমায়েত করতে শুরু করেছেন। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করতে শুরু করেছেন। এরকম অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে ছ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে। করোনার নতুন স্টেন ডেল্টা প্লাস নিয়েও তিনি যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে দেবার জন্য মূলত দায়ী করা হয় ডেল্টা স্টেনকে। যা মিউটেশন করে ডেল্টা প্লাস তৈরি করেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম হলো K417N, যাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ডা.‌ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এর ফলে ব্রিটেনে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। ডেল্টা প্লাস ব্রিটেনে আবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই এ বিষয়ে সরকার ও দেশের মানুষকে সতর্ক করেছেন ডা.‌ রণদীপ গুলেরিয়া।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও করোনার এই নতুন স্টেন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা বিশ্বে সম্প্রতি সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার নতুন স্টেন ডেল্টা প্লাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কয়েক সপ্তাহ এর দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। তাহলে এর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, করোনার এই নতুন স্টেনকে যদি হালকাভাবে নেওয়া হয়, তাহলে তা বিপদজনক হতে পারে।

ভাইরাসের পরিবর্তনকে ভালভাবে বোঝা দরকার, তারপর সেই অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং এর উপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গেই দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মান্য করা না হলে, আবার সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আনলক প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, আগামী অগাস্ট- সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরনে গতি আনার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।

এদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবার আজ থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলো। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে, এবার থেকে রাজ্যগুলিকে উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে আর ভ্যাকসিন কেনার প্রয়োজন হবে না। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫% কিনে নিয়ে তা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বন্টন করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!