এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার হাত থেকে কবে মিলবে মুক্তি? এর মাঝেই বিজ্ঞানীদের নতুন সমীক্ষা আতঙ্ক বাড়ালো চতুর্গুণ!

করোনার হাত থেকে কবে মিলবে মুক্তি? এর মাঝেই বিজ্ঞানীদের নতুন সমীক্ষা আতঙ্ক বাড়ালো চতুর্গুণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্বজুড়ে করোনা ছেয়ে গেছে প্রবলভাবে। আজ এই মানব প্রাণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য পরিত্রাহি চেষ্টা চালাচ্ছে মানব সমাজ। ইতিমধ্যেই করোনা অতি তীব্রভাবে ছড়িয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। কয়েক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যে। যত দিন যাচ্ছে, ততই করোনা আতঙ্ক চেপে বসছে সাধারণ মানুষের মনে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতিকে টেক্কা দিতে দিনরাত এক করে চলছে মারন ভাইরাসকে শেষ করার প্রক্রিয়া বলে জানা যাচ্ছে।

সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা প্রতিষেধক ও ওষুধ আবিষ্কারের জন্য মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় বিভিন্ন সমীক্ষা ও মেডিকেল জার্নালের রিপোর্ট সামনে আসছে যা নিত্যনতুন তথ্যের সন্ধান দিচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত শিশুদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি শিশু ও কমবয়সীদের যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম, সে কথাও জানানো হয়েছে। তবে এবার নতুন যে সমীক্ষা বেরিয়েছে, তাতে বিজ্ঞানীদের দাবি শিশুদের মধ্যে করোনা নিউরোলজিক্যাল ডিজিজের জন্ম দিচ্ছে।

সম্প্রতি ‘জামা নিউরোলজি’র সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা গেছে। করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকজন শিশুর শারীরিক পর্যবেক্ষণ করে এই সায়েন্স জার্নালে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আক্রান্তদের একজনের ক্ষেত্রেও শ্বাসকষ্ট দেখা যায়নি বরং অনেকেরই মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির দুর্বলতা ইত্যাদি লক্ষণ সামনে এসেছে। কয়েকজনের ক্ষেত্রে এনকেফ্যালোপ্যাথির উপসর্গ দেখা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে এনকেফ্যালোপ্যাথির রোগটি আসলে কি?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটি এমন একটি রোগ যেখানে স্মৃতিনাশের ঝুঁকি থাকে প্রবলভাবে। উপরন্তু রোগী ক্রমশ ডিমেনশিয়া, অবসাদ, ভুলে যাওয়ার প্রবণতায় এমনকি কোমাতেও চলে যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সবক্ষেত্রে হয়তো উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। যে রকম হয়েছে করোনা আক্রান্ত বেশ কিছু শিশুর ক্ষেত্রে। ব্রিটেন, স্পেন, অস্ট্রিয়া-সহ ইউরোপের ২৫টি দেশে ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর ক্রমাগত সমীক্ষা চালিয়ে ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করেছিল করোনা সংক্রমণ হলেও শিশুদের শরীরে কোন জটিল রোগ দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কয়েকটি ইনস্টিটিউট করোনা আক্রান্ত শিশুদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দাবি করেছিল, ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম আক্রান্ত হয়েছে কোভিড শিশুরা। অর্থাৎ শরীরের নানা অঙ্গ ভাইরাসের সংক্রমণে এসেছে এবং ক্রমাগত প্রদাহ তৈরি হচ্ছে শরীরে। অন্যদিকে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় করোনা আক্রান্ত 345 টি শিশুকে পরীক্ষা করে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে 23 শতাংশ শিশু ফুসফুসের সংক্রমণ, প্রবল হাঁপানি ও কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

যদিও প্রাথমিক ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, বমি, পেট খারাপের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল প্রত্যেক শিশুর ক্ষেত্রে। কিন্তু পরবর্তীতে ক্রমশ উপসর্গ বদলাতে শুরু করে। শুরু হয় মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, চোখ ফুলে যাওয়া, ত্বকের রঙে বদল। এমনকি দেখা যাচ্ছে হাতে পায়ে ক্ষত, লালচে র‍্যাশ। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। তারপরে বিজ্ঞানীদের এই নতুন তথ্য সামনে আসার ফলে ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছে সর্বস্তরে। আতঙ্ক ততোধিক হাড়ে বেড়ে চলেছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যতদিন না প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন মানব সমাজের সাথে ভাইরাসের এই লড়াই হয়ে উঠবে মানবজাতির টিকে থাকার লড়াই। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা এমন একটি রোগ যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে প্রতিষেধক হাতে থাকা অত্যন্ত জরুরী। শুধুমাত্র প্রতিষেধকের অভাবেই লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বর্তমানে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে যেভাবে দিনরাত এক করেছেন বিজ্ঞানীরা তাতে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা প্রতিষেধক হাতে আসার। তবে সাধারণ মানুষের মনে এই মুহূর্তে একটাই চিন্তা, কবে মিলবে মুক্তি এই মারণ ভাইরাস থেকে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!