করোনার প্রতিষেধক বানাতে গিয়ে বড়সড় মুশকিলে বাবা রামদেব! চুরির দায়ে মোটা জরিমানার মুখে পতঞ্জলি জাতীয় August 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি যে মারাত্মক ভয়াবহ আকার ধারণ করছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল সবাই। প্রতিষেধক বা ওষুধ না থাকার জন্য করোনা সংক্রমণ ঠেকানো মুশকিল হয়ে উঠছে। আর সে কথা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও। তবে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও গবেষকরা ইতিমধ্যে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। ভারতবর্ষও পিছিয়ে নেই। কিন্তু এসবের মধ্যেই যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি হঠাৎ করেই ঘোষণা করে, তারা করোনার প্রতিষেধক নিয়ে এসেছে। রীতিমত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দাবি করা হয় এই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল স্টাডিও করা হয়েছে। বলা হয়, মাত্র 7 দিনে করোনা সারিয়ে দেবে পতঞ্জলির এই ওষুধ। কিন্তু এই দাবির কারণে এবং করোনার ওষুধ আবিষ্কার করার মতন মিথ্যা প্রচারের কারণে এবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বাবা রামদেব ও তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি। সম্প্রতি পতঞ্জলি কোরোনিল নামে একটি ওষুধ বাজারে আনে এবং দাবি করে এই ওষুধ খেলে করোনা সেরে যাবে। কিন্তু চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা আদালতে যায় পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। এবং তাঁরা পাল্টা অভিযোগ করে, কোরোনিল 92 নামে তাঁদের একটি উপাদান রয়েছে। এই মামলায় চেন্নাই আদালত পতঞ্জলিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় তাঁরা কোরোনিল নামটি কোনমতেই ব্যবহার করতে পারবে না। উপরন্তু কোরোনিলকে করোনার ওষুধ বলার জন্য পতঞ্জলিকে এবার 10 লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিল চেন্নাই আদালত। চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানায় কোরোনিল নামটি তাঁদের ট্রেডমার্কের অধিকারে রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু পতঞ্জলি এই নামটি ব্যবহার করার আগে কোনো রকম অনুমতির তোয়াক্কা করেনি। জানা গেছে, এই মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি সিভি কার্তিকেয়ন পতঞ্জলিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন এবং বলেন, আগামী একুশে আগস্টের মধ্যে পতঞ্জলিকে জরিমানার পুরো টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি পতঞ্জলি যখন কোরোনিলকে করোনার ওষুধ বলে দাবি করে, তখন কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক পতঞ্জলিকে করোনার বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া পতঞ্জলির এই দাবির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় বলে জানা গেছে। চাপে পড়ে সেই সময় পতঞ্জলি নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটে। পরে অবশ্য তাঁরা স্বীকার করে, করোনার কোন ওষুধ তাঁরা বার করেনি। তবে এই ধরনের ভুয়া দাবি করার জন্য এদিন চেন্নাই আদালতের বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পতঞ্জলি। পতঞ্জলি যখন কোরোনিলকে করোনার ওষুধ বলে দাবি করে মার্কেটে আনে, তখন থেকেই সারা দেশজুড়ে সমালোচনা চলে আসছিল পতঞ্জলির। আর পরবর্তীতে পতঞ্জলির দাবি যে পুরোপুরি ভুয়ো, সেকথাও প্রকাশ্যে আসে। এর ফলে যোগগুরু রামদেব এর জনপ্রিয়তা যে চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে পড়লো, সে কথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল। এবার দেখার, পতঞ্জলি তাঁদের দোষ মেনে নিয়ে জরিমানার টাকা মেটায় নাকি এবার উচ্চতর আদালতের সাহায্য নেয়! আপনার মতামত জানান -