প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনে করোনা সংক্রমনের ঘটনা বর্তমানে নতুন কিছু নয়। কারণ দেশে করোনা হানা যেভাবে তার প্রভাব বিস্তার করছে, তাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের করোনা সংক্রমণ বর্তমানে স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। যাদের মধ্যে কিছু জনের মৃত্যু হয়েছিল বলেও জানা যায়।

তবে সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কৃষিমন্ত্রী আর দোরাইক্কান্নুর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল বলে জানা যায়। তখন থেকেই চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন বলে জানা গেছে। আর সেখানেই সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। এডিএমকে নেতার মৃত্যুতে তাই শোকের ছায়া দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে গত ১৩ই অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই সঙ্গে তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিল বলেও জানা যায়।

চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল বলে জানা গেছে। এদিন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অন্য শারীরিক সমস্যাও ছিল। মৃত্যুর আগে তাঁর শরীরের মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েছিল বলেও জানা যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় মন্ত্রীর ফুসফুসের ৯০ শতাংশই সংক্রমণের শিকার হয়েছিল।

এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছিল তাঁর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের ওপরও। সেইসঙ্গে রক্ত সংবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা গিয়েছিল বলে জানা যায়। মৃত্যুর আগে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু সমস্ত লড়াই শেষ করে শনিবার রাত ১১ টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বানোয়ারীলাল পুরোহিত। তাঁর কথায় করোনা আক্রান্ত হবার পর তাঁর খবরা খবর নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে তিনিও যে কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেই খবরও জানা যায়। এছাড়া কৃষি মন্ত্রী আর দোরাইক্কান্নুকে দেখতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামী হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলেও জানা যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাঞ্জাভুর জেলার পাপনাশম কেন্দ্রের তিন বারের এডিএমকে বিধায়ক ছিলেন দোরাইক্কান্নু। তাঁর ২০১৬ সালে প্রথমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খোদ জয়ললিতাই। সেইসঙ্গে তাঁকে কৃষি দফতরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিরসেলভম এবং পলানীস্বামীর শাসনকালেও ওই পদে ছিলেন। আর তাঁর এহেন মৃত্যুতে তাই স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।