এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশের ৭০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন? সামনে এল ঘুম উড়িয়ে দেওয়া নতুন সমীক্ষা!

দেশের ৭০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন? সামনে এল ঘুম উড়িয়ে দেওয়া নতুন সমীক্ষা!


করোনার মতো ভয়াবহ মারণ ভাইরাসকে কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছে না। যত দিন যাচ্ছে, ততই বেগতিক হচ্ছে পরিস্থিতি। ভারতবর্ষ আগেভাগেই এর গুরুত্ব অনুধাবন করে লকডাউন পথে গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ধাপের লকডাউন চলছে আগামী 17 মে তৃতীয় ধাপের লকডাউন শেষ হবে। আর তারপরই চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সচল রাখতে সেই লকডাউনকে কিছুটা হলেও শিথিল করা হচ্ছে।

তবে যতক্ষন পর্যন্ত করোনার সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্তি না ঘটে, ততক্ষন পর্যন্ত তাড়াহুড়ো করে এত তাড়াতাড়ি লকডাউনকে শিথিল করা উচিত নয় বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এমতাবস্থায় ভারতের জনসংখ্যার 60 থেকে 70 শতাংশ মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড বিসাই। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সেমিনারে এই ব্যাপারে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডেভিড বিসাই।

আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত গোটা দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে আলোড়ন। তবে করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে যখন সমস্ত দেশ উঠে পড়ে লেগেছে, তখন কেন ভারতবর্ষে করোনায় 60 থেকে 70 শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন, “ভ্যাকসিন বেরোতে এখনও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ততদিন সতর্ক থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। দু’বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন বেরোলে ততদিনে ভারতীয় অর্থনীতি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চাপ পড়বে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। উপার্জন কম হবে, অথচ লোকবল বেশি থাকবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সচল থাকার জন্য ব্যাংকগুলো যদি সহজ কিস্তিতে টাকা ধার দেয়, তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে দেশের অনেক শ্রমিক এখন বাইরে কাজ করতে গিয়ে আবার দেশে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। ফলে লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন। তাই সেই সমস্ত শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে যাওয়ায় তাদের জন্য তা বড় ক্ষতি বলে দাবি জানিয়েছেন বোতসওয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নারায়ন সিনহা।

পাশাপাশি এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। তবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বের হওয়া নিয়ে নানা মহলে আশার আলো তৈরি হলেও, এই প্রতিষেধক যে নাও বের হতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডঃ ডেভিড নাবারো। আর বিশেষজ্ঞদের এই একের পর এক মন্তব্য এখন রীতিমত শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশবাসীর কাছে।

যদি সত্যিই করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার না হয় এবং ভারতের 60 থেকে 70 শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সত্যিই জানেন না কেউ। এখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি করে সচেতনতা অবলম্বন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ফলে গোটা পরিস্থিতি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!