পুলিশ অফিসারের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ আদায়, গ্রেফতার ভিন রাজ্যের যুবক জাতীয় নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য August 4, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুলিশ অফিসারের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক পুলিশ অফিসারকে প্রথমে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। এরপর তাঁদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার পাপডা গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ গুরজা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কাকদ্বীপের এসডিপিও অনিল কুমার রায়। তাঁর অভিযোগের পর জামিন অযোগ্য ধারায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, গত ১ লা জুন কাকদ্বীপের এসডিপিও অনিল কুমার রায়ের পরিবারের সদস্যদের গ্রুপফটো ব্যবহার করে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল দীনেশ গুরজা। মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার পাপডা গ্রামের বাসিন্দা এই প্রতারক। তার মোবাইল ফোন দ্বারা এই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেখান থেকে একাধিক পুলিশ আধিকারিককে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কখনো ২৫,০০০ টাকা কখনো ৩০,০০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়। বলা হয় চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য প্রয়োজন। এরপর একাধিক পুলিশ অফিসার এসডিপিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ কথা শুনে বিস্ময়ে ফেটে পড়েন এসডিপিও। তারপর নিজের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সকলকে প্রতারনার ফাঁদে না পড়ার বার্তা দেন তিনি। পুলিশের চেষ্টায় নকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। এরপর সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত দীনেশ গুরজাকে। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। এরপর দীনেশ গুরজাকে রাজ্যে আনা হয়েছে। সিম কার্ড সহ তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে পুলিশ। কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয় তাকে। দশ দিনের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে তাকে। দ্রুত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। রাজ্যে যখন একের পর এক ভুয়ো অফিসারের দৌরাত্ম্য নিয়ে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের। ঠিক সেই সময়ে এসডিপিও অনিল কুমার রায়ের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেবার কাজে নেমেছিল এই অভিযুক্ত। জানা যায়, ফোন পে অথবা গুগল পের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য চাওয়া হতো এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। তার কার্যকলাপ বিস্মিত করে দিয়েছে পুলিশদের। আপনার মতামত জানান -