রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আপাতত পাখির চোখ ডিএ নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটে হওয়া মামলায় কি হয় সেদিকেই। স্যাটে ইতিমধ্যেই ডিএ নিয়ে একটি মামলা করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, স্যাট জানিয়েছিল – এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন – আগে সেই মামলার রায় সামনে আসুক তারপর, আমরা সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবো।

ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিয়েছে, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের নৈতিক অধিকার। কিন্তু সেই ডিএর হার কি হবে বা তা বছরে কতবার করে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত স্যাট জানাবে। আর এই রায় সামনে আসতেই সরকারি কর্মচারী পরিষদ – এবার তাদের মামলার শুনানির জন্য স্যাটকে অনুরোধ করবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। আজ স্যাটের কাজকর্ম শুরু হলেই এই মামলার ‘মেনশন’ হওয়ার কথা ছিল।

এই প্রসঙ্গে, সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের সঙ্গে প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, আজ সকালে স্যাটের বিচারপতিদের কাছে আমাদের আইনজীবী এই মামলার ‘মেনশন’ করেন। তিনি স্যাটের নির্দেশ তুলে ধরে বলেন, আপনাদের নির্দেশমত ডিএ মামলায় হাইকোর্ট নিজের রায় জানিয়ে দিয়েছে। তাই, এবার আমাদের সেই মামলার পরবর্তী শুনানির আবেদন মঞ্জুর করা হোক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দেবাশিসবাবু জানান, বিচারপতিরা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ১৮ ই সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেছেন। আমাদের আশা, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য আমরা যে লড়াই শুরু করেছি – স্যাটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে তার যথাযোগ্য মর্যাদা পাব। যেহেতু কলকাতা হাইকোর্ট নিজেদের রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নৈতিক অধিকারের মধ্যে পরে, সুতরাং আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এবার তা কেন্দ্রীয়হারেই দেওয়ার সুব্যবস্থা করবে স্যাট।

প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে যে মামলা হাইকোর্টে হয়েছিল – তা করেছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ। গত সোমবার ১০ তারিখ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বে তাঁরা ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নথি স্যাটে জমা দিয়ে এই মামলার ‘মেনশন’ করেন। স্যাটের বিচারপতিরা তা গ্রহণ করে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসাবে আজকের দিন ধার্য্য করে। সেই মামলার শুনানি এখনো হয় নি – এখন দেখার সেই শুনানিতে বিচারপতিরা কি বলেন। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা – সরকারি কর্মচারী পরিষদ ও কনফেডারেশনের করা মামলার বিষয় যেহেতু এক, তাই এই দুই মামলার শুনানি একত্রে হতেও পারে। তবে চিত্রটা, আজকের কনফেডারেশনের মামলার শুনানির পরেই স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।