প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমাদের দেশে মহিলাদের পিরিওড সংক্রান্ত সমস্যা আজকের নয়। এখনো পর্যন্ত অনেক মহিলাই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারও করতে পারেন না। বরং অস্বাস্থ্যকরভাবে পিরিয়ডের সময়টিকে কাটান। বিভিন্ন ট্যাবুও এক্ষেত্রে কাজ করে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে শারীরিকভাবে মহিলারা অতি দুর্বল হয়ে পড়েন। তবে এক্ষেত্রে দামি কোম্পানির দামি স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করার কথা অনেক গরিব মহিলাই ভাবতেও পারেন না। আর সেখানে তাঁদের ভরসা দিতে এবার প্রধানমন্ত্রী 12 হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প এনে হাজির করছেন।

যেখানে দেশের সমস্ত মহিলারা 1 টাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন পাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই এই প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। 2018 সাল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে ‘সুবিধা’ ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যেত। যার দাম ছিল প্রতিটি ন্যাপকিন আড়াই টাকা। গত বছর আগস্ট মাস থেকে এই দাম কমিয়ে করা হয়েছে এক টাকা। এবার আরো বেশি সংখ্যক মহিলাদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য বৃহৎ ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

সাধারণত দামি কোম্পানির স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন অনেকেই। এবং সেগুলি পরিবেশ বান্ধবও নয়। কিন্তু সরকারি স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলি হবে পরিবেশ বান্ধব এবং যেগুলি ব্যবহার করার পর বাতাসে অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে ছোট ছোট টুকরো হয়ে ভেঙে মাটিতে মিশে যাবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সার ও রাসায়নিক মন্ত্রকের ওপর। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য গত দু’সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের।

জানা গিয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মহিলাদের হাতে কম দামে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে। তবে হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যন্ত এলাকার মহিলাদের হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়ার এই পরিকল্পনার পিছনে রাজনৈতিক ফন্দিফিকির খুঁজছেন অনেকেই। বিরোধীদের মতে, সামনে আসছে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকে নজর দিয়ে গেরুয়া শিবিরের ভোট বাক্স ভরাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ।