এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশের তিন সংস্থা দোড়াচ্ছে তীব্র গতিতে! একুশের আগেই ভারতের বাজারে চলে আসছে কোভিড ভ্যাক্সিন?

দেশের তিন সংস্থা দোড়াচ্ছে তীব্র গতিতে! একুশের আগেই ভারতের বাজারে চলে আসছে কোভিড ভ্যাক্সিন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা বিশ্বজুড়ে এখনো করোনা তার ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে ভয়ঙ্করভাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই অবস্থায় প্রতিষেধকের আশায় বিশ্বের মানুষ দিন গুনছেন। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাশিয়া তো বহু বিতর্কের মধ্যেই প্রতিষেধক নিয়ে এসেছে তাদের দেশে। পিছিয়ে নেই ভারতও।

নিশ্চিত রূপে বলতে না পারলেও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে ভারত। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে ভারতের বুকে। এদেশের তিনটি সংস্থা এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন তৈরীর ক্ষেত্রে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। নির্দিষ্টভাবে ভ্যাকসিন কবে থেকে পাওয়া যাবে সে কথা বলতে না পারলেও শোনা যাচ্ছে, হয়তো এ বছরের শেষে না হলে একুশের গোড়াতে করোনার টিকা এসে যাবে ভারতে।

এবং প্রথম দফায় প্রায় 50 লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হতে পারে বলে খবর। যদিও ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রথম ছাড়পত্র কে পাবে রেগুলেটরি কমিটির, তা এখনো জানা যায়নি। তবে এই মুহূর্তে কোভিড এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির দফায় দফায় বৈঠক চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগ এর সদস্য ভি কে পল ও স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। অন্যদিকে জানা গেছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে টিকার ডোজ, প্রতি ডোজের দাম, উৎপাদন ও বিতরণের যাবতীয় খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন প্রথম দফায় করোনা যোদ্ধা হিসেবে যারা এই মুহূর্তে প্রথম সারিতে থেকে কাজ করে চলেছেন, তাঁদেরকেই দেওয়া হবে। যেমন- ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাকর্মী, পুলিশ কর্মী এবং প্রবীর নাগরিকসহ হাইরিস্ক গ্রুপের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, ভারতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীর তালিকায় রয়েছে এই মুহূর্তে পাঁচটি সংস্থা। যার মধ্যে ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা এবং সেরাম ইনস্টিটিউট যে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে তা ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই মুহূর্তে ভারত বায়োটেক ও জাইদাস ক্যাডিলার দ্বিতীয় স্তরের ট্রায়াল চলছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সেরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তাঁদের কোভিড টিকার তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে আর কিছুদিনের মধ্যেই। তৃতীয় পর্যায়ের রিপোর্ট যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে ভারতে আসতে চলেছে করোনার প্রথম ভ্যাকসিন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, যদি ট্রায়ালের ফল ইতিবাচক হয়, তাহলে রেগুলেটরি কমিটি থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হবে।

এবং তারপরেই দেশের মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হবে। অন্যদিকে জানা গেছে, ভারতের এই তিনটি সংস্থা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের বায়োটেক ফার্ম এইচডিটি বায়োটেকনোলজি কর্পোরেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করছে পুনের জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যাল। অন্যদিকে ভ্যাকসিন তৈরিতে ভারতের আরো একটি সংস্থা কাজে লেগেছে। হায়দ্রাবাদের বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োটেকনোলজি ই জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে চুক্তি করে করোনার প্রতিষেধক তৈরীর কাজ চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে যেভাবে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে ভারতের বৈজ্ঞানিক মহল, তাতে নিঃসন্দেহে করোনা প্রতিষেধক নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যথেষ্ট আশার আলো জাগতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা কোনোমতেই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় বলে জানা যাচ্ছে। একের পর এক ধাপ পেরিয়েই করোনার প্রতিষেধক সর্বসাধারণের সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের স্বাস্থ্য মহল থেকে জানাচ্ছে, এই মুহুর্তে দেশে ক্রমশ সুস্থতার হার বাড়ছে। আপাতত আশাবাচক ইঙ্গিত নিয়ে করোনার অপেক্ষায় ভারতবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!