এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ধীরে ধীরে করোনার ধার কি কমে যাচ্ছে? নতুন সরকারি তথ্যে উঠে এল কোন আশার আলো? জানুন বিস্তারে

ধীরে ধীরে করোনার ধার কি কমে যাচ্ছে? নতুন সরকারি তথ্যে উঠে এল কোন আশার আলো? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। একইসাথে করোনা দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এখনো পর্যন্ত দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। করোনা আবহ সামলে নিউ নর্মাল শুরু হলেও পরিস্থিতি যে এখনো স্বাভাবিক হয়নি তা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন সবাই। তবে এই অবস্থায় আশার কথা শোনাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমাদের দেশে এবার ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। একই সাথে কমছে মৃত্যুর হারও।

তবে এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ করোনাকে পুরোপুরি হারাতে প্রয়োজন অতিরিক্ত সচেতনতা। অন্যদিকে শীতের সময় এমনিতেই শরীর খারাপ হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ, সামান্য শরীর খারাপ দেখা দিলেও যেন তাকে অবহেলা না করা হয়। করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। অল্প জ্বর, সর্দি, কাশির মতন সামান্য উপসর্গই কিন্তু এখন করোনার লক্ষণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তাই মঙ্গলবার বারংবার সাবধান করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগামী 23 অক্টোবর থেকে 3 রা নভেম্বর পর্যন্ত গত একমাস যাবত মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে কমতির দিকে।

বরং দিল্লি, মণিপুর এবং পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ কিন্তু বাড়ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে সদ্যই গেছে দুর্গাপুজো। এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এবার দূর্গা পূজার পর সংক্রমণ কিন্তু বাড়বে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে গত 7 সপ্তাহ ধরে কিন্তু দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার নিম্নমুখী। গত 16 সেপ্টেম্বর থেকে 22 শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে সংক্রমণের দৈনিক যেখানে 90,364 ছিল সেটাই বাইশে অক্টোবর থেকে তেশরা নভেম্বরের মধ্যে কমে দাঁড়িয়েছে 45,884 তে। একই সময় দৈনিক মৃত্যুর হার 1165 থেকে কমে হয়েছে 513। এখনো পর্যন্ত সারা দেশজুড়ে 11 কোটিরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তাও দেশবাসীর একটা বড় অংশের মধ্যে এখনও সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি নীতি আয়োগ এর অন্যতম সদস্য তথা দেশের করোনা টাস্ক ফোর্সের অন্যতম ব্যক্তি ভি কে পল। তিনিও একইভাবে করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখা গেলে পরীক্ষা করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে এই মুহূর্তে করোনার জন্য যেকোনো রকম বায়ুদূষণ মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্য এবছর দীপাবলিতে আতশ বাজি পোড়ানো বন্ধের ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি প্রতিবছরই দিল্লিসহ উত্তর ভারতে শীতকালে ফসল কেটে তার গোড়া পুড়িয়ে দেওয়ার রেওয়াজ আছে। কিন্তু তাতেও দিল্লিসহ সমগ্র উত্তর ভারতে মারাত্মক বায়ুদূষণ বাড়ে।

এবছর তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি তথ্য কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করছে। কিন্তু তাতে করে যদি সাবধানতা ও সতর্কতার রাশ বিন্দুমাত্র আলগা হয়, তাহলে কিন্তু বড়োসড়ো বিপদ ঘটে যাবে। সংক্রমণ দ্বিগুণ শক্তিতে ফিরে আসবে এবং মহামারীর আকার ধারণ করবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতি আটকানোর জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের বিশেষজ্ঞ মহল। অন্যদিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন আনার প্রচেষ্টা চলছে ভারতের বুকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ এবার ধীরে ধীরে আশায় বুক বাঁধছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!