ধূমপানের কারণে বেড়ে চলেছে অন্যান্য ফুসফুসজনিত রোগ, সতর্কবাণী চিকিৎসকদের কলকাতা রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য May 31, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা বিশ্বে আজকে পালিত হচ্ছে নো টোব্যাকো ডে। ধূমপান নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রচুর সতর্কবার্তা দিলেও চিকিৎসকরা মনে করছেন, তাতে ধূমপায়ীদের বিশেষ কিছু যায় আসেনা। আর এই ধূমপানের কারণেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে সিওপিডিতে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় 15 হাজারের বেশি সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যান্য শারীরিক অসুখ ছিল প্রায় 11 হাজারের। আর এই অন্যান্য অসুখের মধ্যে অন্যতম হলো সিওপিডি। করোনা এমনিতেই ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায়। সেক্ষেত্রে যদি কারোর সিওপিডি থাকে, তাহলে তার বাঁচার আশা যে প্রায় থাকেনা, তা বললেই চলে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বাংলায় ইতিমধ্যেই সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 50 লক্ষের বেশি। প্রসঙ্গত জানা যায়, ফুসফুসের স্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহ বাধা পায় সিওপিডিতে আক্রান্ত হলে। এবং এই অসুখ সবথেকে বেশি দেখা যায় ধূমপায়ীদের মধ্যে। চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যদি কেউ সিগারেট খেতে থাকেন তাহলে তাঁর প্রথমে শ্বাসনালী এবং পরে ফুসফুস ক্রমশ অকেজো হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে সিগারেট বর্জন করা উচিত বলে দাবি করেন চিকিৎসকরা। 31 শে মে বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাচ্ছেন ধূমপান বিরোধীরা। ফুসফুসের অসুখে অর্থাৎ সিওপিডিতে আক্রান্তের নিরিখে ভারতের ইতিমধ্যে পঞ্চম স্থানে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - চিকিৎসকদের মতে, করোনা এই মুহূর্তে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এখনো যদি কেউ সাবধানতা অবলম্বন না করেন অর্থাৎ ধূমপান না ছাড়েন, তাহলে বাংলাতে করোনায় মৃতের সংখ্যা কিন্তু উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে সহজেই অনুমান করা যায়। কিছুদিন আগেই রাজ্যের সিওপিডি রোগীদের চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যে সিওপিডি ক্লিনিক খুলেছিল রাজ্য সরকার বিভিন্ন জায়গায়। সবরকম ব্যবস্থাপনা করে সিওপিডি রোগীদের চিকিৎসা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই এসে পড়ে করোনা। এবং এই ক্লিনিকগুলো যথারীতি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ সমস্ত চিকিৎসক এই মুহূর্তে ব্যস্ত কোভিড ডিউটিতে। আপাতত চিকিৎসকদের লক্ষ্য, সিওপিডিতে আক্রান্তের হার যাতে কম থাকে তা দেখা। আর সেক্ষেত্রে প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য যাতে সবাই ধূমপান বর্জন করে। এতকিছু বলা সত্বেও বরাবরের মতন ধূমপায়ীরা চিকিৎসকদের কথাকে ধোঁয়ায় উড়িয়ে দেয় নাকি করোনার নিরিখে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে, সেটাই এখন দেখার। আপনার মতামত জানান -