প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আগমনকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেখানে তাঁর কনভয়কে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলেও সেইসময় অভিযোগ করা হয়। সেই ঘটনায় দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান এবং কালো পতাকাও দেখানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে এই হামলার ঘটনায় যে তৃণমূলের হাত রয়েছে, তেমনটাই দাবি করেছিল বিজেপি। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় মোর্চার যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

তবে আবারও সেই একই ঘটনার কথা জানা গেছে। সম্প্রতি কান্দির সভা শেষ করে বহরমপুর ফেরার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়কে নিশানা করে আবারও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও বিজেপির অভিযোগ করেছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এদিন কান্দির সভা সেরে বহরমপুরে ফিরছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।। সেই সময় পুরন্দরপুর এলাকায় দিলীপ ঘোষের কনভয় উদ্দেশ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া জেলা বিজেপি সভাপতি গৌরী শংকর ঘোষের গাড়িতেও ঢিল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

তবে ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলেই জানা গেছে। এদিন বিজেপির তরফে জানানো হয় যে, সকালে তাঁদের কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। ফের এদিন ফেরার পথে রাস্তায় তাঁদের কালো পতাকা দেখানো হয়। সেই সময় প্রায় ৫০-৬০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী পুলিশের সামনেই কনভয়ে হামলা করে বলেই বিজেপির তরফে অভিযোগ জানান হয়েছে।

সেইসঙ্গে কনভয়ে থাকা গাড়িগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে। গাড়িগুলির কাঁচ ভাঙার পাশাপাশি সেগুলিতে ধারালো লোহার অস্ত্র দিয়ে এই হামলা হয়। আর পুলিশের সামনেই এই হামলা হয় বলেই অভিযোগ। যেখানে হামলা চলাকালীন পুলিশকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করতেই দেখা গেছে।

বুধবার রাত্রে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হোটেলে ফিরে দিলীপ ঘোষ জানান, বোলপুরে কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে। তাঁর দাবি, কান্দি থেকে বহরমপুর ফেরার সময় পুরন্দরপুর এলাকায় তাঁদের গাড়ির উপর হামলা করা হয়। সেইসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িতেও ঢিল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।