রাজ্য সভাপতি হিসাবে চূড়ান্ত সফল! আগামী দু সপ্তাহের মধ্যেই দিলীপ ঘোষের জন্য আসছে বড়সড় সুখবর কলকাতা বিজেপি বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য June 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন একজন তারকা নাম। রাহুল সিনহার মত হেভিওয়েট নেতাকে সরিয়ে তাঁকে রাজ্য সভাপতি করে গেরুয়া শিবির। আর রাজ্য সভাপতি পদেই একের পর এক সাফল্য দিয়েছেন দিলীপবাবু। তাঁর আমলেই প্রথমবারের জন্য বিজেপি একযোগে ৩ জন বিধায়ক ও ১৮ জন সাংসদ পায়। শুধু তাই নয়, তিনি সবসময়েই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালোবাসেন। ফলে, নির্বাচনী যুদ্ধেও তিনি কোনো সময়েই পিছপা হন না। ফলে, প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েই হয়েছিলেন বিধায়ক। আবার প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন সাংসদ। এখানেই শেষ নয়, তাঁর নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখেই বিধানসভা নির্বাচনেও যেতে চাইছে বিজেপি। ফলে, তাঁকেই দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে। আর রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য দায়িত্ব পেয়েই আরও তীব্র করেছেন সংগঠন বাড়ানোর কাজ। তাঁর’হাত ধরেই সম্প্রতি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্যোতির্ময়ী শিকদার। এছাড়াও তিনি যেখানেই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানেই করোনা জুজু উড়িয়ে নামছে মানুষের ঢল। তাঁর হাত ধরেই বিভিন্ন দল ছেড়ে গেরুয়া পতাকার তলায় আসছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর দিলীপবাবুর এহেন কঠোর পরিশ্রম ও পারফরম্যান্স দেখে দারুন খুশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আগামী দুসপ্তাহের মধ্যেই দিলীপবাবুর জন্য বড়সড় ‘উপহারের’ ব্যবস্থা করছে দিল্লি বিজেপি। কিন্তু কি সেই উপহার, তা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন সকলেই। তবে শোনা যাচ্ছে মূলত দুটি জল্পনা। প্রথমত, বাংলার পাশাপাশি এবার কেন্দ্ৰীয়স্তরেও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আনা হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তাঁকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে ‘প্রজেক্ট’ করে দেওয়া হতে পারে – যাতে বিধানসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক কর্মসূচি আরও গতি পায়। রাজনৈতিক মহল দ্বিতীয় সূত্র নিয়ে কিছুটা দ্বিধা-বিভক্ত। কেননা বিজেপি সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট করে নির্বাচনে যায় না। কিন্তু, বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, অমিত শাহ এক জনসভায় জানিয়েছিলেন – বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাটি থেকে উঠে আসা কোনো নেতাই মুখ্যমন্ত্রী হবে। ফলে, শাসকদলের এক দাপুটে নেতার নাম নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। কেননা, সেই নেতার বিজেপিতে যোগদানের কথা শোনা গেলেও, এখনও তিনি শাসকদলেই আছেন। তাছাড়া বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কেউ দলে এলে তাঁকে পদ পেতে ৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সেক্ষত্রে তর্কের খাতিরে সংশ্লিষ্ট নেতা বিজেপিতে যোগদান করলেও, একেবারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মেনে নিতে পারছেন না আদি বিজেপি কর্মীরা। বিশেষ করে দিলীপবাবু যেভাবে গোটা রাজ্য ঘুরে খেটে সংগঠন তৈরী করেছেন – তারপরে তাঁকে মুখ করা নাহলে অন্যায় হবে বলেই মনে করছেন দলের বৃহদংশ। আর তাই, দলের কারোর মধ্যে যাতে এই নিয়ে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না থাকে, তা নিশ্চিত করতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিশেষ করে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী হতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ‘লবিইং’ শুরু হয়ে গেছে। সেক্ষত্রে, যদি একবারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে স্পষ্ট দিশা আসে, তাহলে লড়াই আরও সহজ হবে। তবে, এই সবই এখনও জল্পনার স্তরে – একটা জিনিসই নিশ্চিত, তা হল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাজে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর জন্য বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা করছেন। কি সেই উপহার? জানতে অপেক্ষা আর মাত্র দু সপ্তাহের। আপনার মতামত জানান -