এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ক্রমশ প্রকট হচ্ছে করোনার থাবা! লকডাউন আরও ২ সপ্তাহ বাড়াতে কেন্দ্রকে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর

ক্রমশ প্রকট হচ্ছে করোনার থাবা! লকডাউন আরও ২ সপ্তাহ বাড়াতে কেন্দ্রকে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর


করোনা ভাইরাসকে মারতে ভারতবর্ষ অনেকদিন আগেই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। আগামী 14 এপ্রিল সেই লকডাউনের শেষ দিন। তবে করোনাকে আটকানোর জন্য এই লকডাউন শেষ উপায় হলেও, যত দিন যাচ্ছে, তত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে লকডাউন কি আবার বাড়ানো হবে, নাকি 14 এপ্রিলের পরে স্বাভাবিকভাবে জনজীবন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলেই।

তবে পরিস্থিতি লকডাউনের কারণে কিছুটা আয়ত্তে আসায় তা 14 এপ্রিলের পর তুলে নেওয়া হতে পারে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এবার সেই লকডাউন যাতে আরও দু সপ্তাহ অন্তত রাখা হয়, তার ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানালেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। আর দেশের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের কাছে লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি এখন রীতিমত গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অনুরোধ করেন, 15 এপ্রিল যেন লকডাউন প্রত্যাহার করা না হয়। তার মেয়াদ যেন অন্তত দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন তিনি একথা বললেন? জানা গেছে, লকডাউনের কারণে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখন ভারতবর্ষে যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তার জন্য প্রধানভাবে দায়ী দিল্লির নিজামুদ্দিনের সমাবেশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে যদি 14 এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, তাহলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। আর সেই আশঙ্কাতেই এবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেন যে, আরও দুই সপ্তাহ যেন তা বজায় রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 14 এপ্রিলের পর যদি লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, তাহলে নিঃসন্দেহে মানুষের কিছুটা হলেও অসুবিধা হবে।

কেননা এতদিন গৃহবন্দি থাকা কোন্দল মানুষেরই অভ্যাসের মধ্যে নেই। সেদিক থেকে আবার যদি লকডাউন হয়, তাহলে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনার পর যেভাবে ভারতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছেহ তাতে যদি লকডাউন করা না হয়, তাহলে আবার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

তাই এই পরিস্থিতিতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে এই আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে গোটা দেশবাসীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!