এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন কি ধীরে ধীরে উঠতে চলেছে? কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

লকডাউন কি ধীরে ধীরে উঠতে চলেছে? কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


দেশজুড়ে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যে সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন চালু করা হয়েছে, সেই লকডাউন এর মধ্যেই সংক্রমণ আরো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত আগামী 14 এপ্রিল এই লকডাউন ওঠার কথা, কিন্তু ইতিমধ্যে লকডাউন তোলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মহলে একের পর এক বৈঠক শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, তা বুঝে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্রের খবর,ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সংক্রমিত এলাকা অনুযায়ী বিশেষ কয়েকটি স্থানকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দেশের অন্যান্য জায়গায় লকডাউন শিথিল হলেও এই চিহ্নিত হটস্পটগুলিতে আরো কড়াভাবে লকডাউন জারি থাকবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আগেই বলা হয়েছিল, করোনা ভাইরাসের বর্তমান ভৌগোলিক বিস্তার ইনফ্লুয়েঞ্জার বিস্তারকে নকল করে। একথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতের 130 কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মারাত্মক রকম করোনা ভাইরাস বিস্তার লাভ করতে চলেছে।

তবে দেশের সর্বত্রই যে তা ঘটবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই 22 টি সম্ভাব্য হটস্পট চিহ্নিত করা গেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উদ্যোগে। এই 22 টি সম্ভাব্য হটস্পট এলাকা থেকে করোনা ভাইরাস যাতে আর ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, তার জন্য নতুন করে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আগামী দিনের পরিকল্পনা- চিহ্নিত হটস্পটগুলিতে লকডাউন এর মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে।

লকডাউন এর মধ্যেই করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে নিজামুদ্দিনের জমায়েতকে দায়ী করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে বহুলাংশে মহানগরীতে কাজ করতে লোক আসে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের স্থানান্তরের কারণে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। যদিও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, গ্রামীণ ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সেই অর্থে চোখে পড়েনি। তবে বহিরাগতরা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কিনা সে ব্যাপারে আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, ভারতের বিশাল জনসংখ্যাকে মাথায় রেখে পরিসংখ্যানবিদরা করোনার সংক্রামিত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে হটস্পট হিসাবে শনাক্ত করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে সূত্রের খবর, গত তেসরা এপ্রিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোষ্ঠীর একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। দিল্লিতে ওই বৈঠকে করোনাকে সামলানোর প্ল্যান-বি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই বৈঠক থেকে জানা গেছে 14 ই এপ্রিল লকডাউন উঠে গেলেও আগামী মাসের 15 তারিখে আবারও সারা দেশজুড়ে লকডাউন জারি করার কথা ভাবা হচ্ছে। অবশ্য তার আগে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে পরিস্থিতি দেখে নিতে পারে সরকার। মনে করা হচ্ছে, 14 ই এপ্রিল লকডাউন উঠলেও আপাতত কোন সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ বা শপিংমল এবং ধর্মীয় স্থান গুলি বন্ধ থাকবে। শপিংমল যদিও বা খোলে, সেখানে শুধুমাত্র পাওয়া যাবে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র।

প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে আসছেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য এখন একটাই, লকডাউন উঠলেও সাধারণের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। পাশাপাশি লকডাউন এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার মুখোমুখি। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় সে জন্য ইতিমধ্যে যারা কোয়ারান্টাইন এ আছেন তাঁদের শরীরে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হবে বলে ভাবা হচ্ছে।

পাশাপাশি, সরকারি অফিসগুলোতে 50% কর্মী এনে কাজের পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার দিকে এগোনো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সবকটি প্রস্তাবই এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে শুধুমাত্র আলোচনায় আটকে আছে। গত 24 শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন এর ফলে দেশবাসী হয়ে আছে গৃহবন্দী। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণও লকডাউন এর মধ্যেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভারত সরকারের। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তোলা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে নরেন্দ্র মোদি সরকার, সেদিকেই তাকিয়ে এখন সমগ্র দেশবাসী।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!