পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় কেন্দ্রকে তোপ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর,পাল্টা তোপ দিলীপের! কলকাতা রাজ্য May 27, 2020 লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন। বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করে সেই সমস্ত শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের অনেক শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম থেকেই এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে রাজ্য সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে এসেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য সেই বিরোধীদের বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়ে দিল। বস্তুত, এত পরিযায়ী শ্রমিক একসাথে রাজ্যে পাঠালে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই এবার তার বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যাকে কেন্দ্র করে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। জানা গেছে, এদিন মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় পাঠানো নিয়ে আপত্তি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনেক পরিযায়ী শ্রমিকই করোনা সংক্রমিত। রাজ্য চেয়েছিল বিশেষ পরিকল্পনা করে সেই সমস্ত শ্রমিকদের আনতে। কিন্তু রেল রাজ্যের কথা শুনল না। এত লোকের একসঙ্গে পরীক্ষা করব কিভাবে!” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরই তাঁকে আক্রমণ করে সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যের তরফেই জানানো হয়েছিল 26 মে পর্যন্ত আমপান নিয়ে ব্যস্ত। ওই দিন পর্যন্ত ট্রেন পাঠানোর প্রয়োজন নেই। সেই অনুযায়ী পাঠানো হয়নি। 27 মে পাঠানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই দাবি করেছিলেন, তিনি 105 টি ট্রেন পাঠানোর কথা কেন্দ্রকে বলেছেন। মহারাষ্ট্র সরকার যখন আসার অনুমতি দিয়েছে, তখন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিচ্ছে না কেন? দুর্ঘটনায় শ্রমিক মারা যাচ্ছে, তার দায় কে নেবে?” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেই ধীরে ধীরে সেই সমস্ত শ্রমিকদের ফেরত পাঠানোর কথা বলতে চেয়েছেন। তবে শ্রমিকরা যদি বর্তমানে নিজের ঘরে না ফিরতে পারেন, তাহলে তাদের বিড়ম্বনা আরও বাড়বে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্য তুলে ধরে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে চাপে ফেলে দেওয়া হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -