এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে WHO-এর ঘোষণা – বাতাসেও বাঁচে করোনা!

আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে WHO-এর ঘোষণা – বাতাসেও বাঁচে করোনা!


করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে এবার মার্কিন গবেষকদের নতুন দাবি, বাতাসেও ভেসে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। শুধুমাত্র আক্রান্তের সংস্পর্শ থেকে নয়, আক্রান্তের হাঁচি, কাশি থেকেও বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। যে কোন পদার্থকে আশয় করে এই ভাইরাস বেশ কিছুক্ষণ জীবিত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এতদিন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল, করোনা ভাইরাস বাতাসে বাঁচেনা। এখন যেহেতু জানা গিয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বাতাসেই ভাইরাসটিকে থাকতে হতে পারে সে কারণে মানুষের সংক্রমণের ঝুঁকির পরিমাণ- বিশেষ করে সংক্রমিত ব্যক্তির নিকট থাকছেন যে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

সময়ের সাথে সাথে করোনা আতংক অসংখ্য মানুষের মনে আরও প্রবলতরভাবে চেপে বসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, একমাত্র মানবদেহেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু এবার গবেষণার মাধ্যমে উঠে এলো নতুন তথ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্তা মারিয়া ভ্যান কারখোব সারাবিশ্বের স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার কথা বলেছেন। উপরন্তু তিনি অনুরোধ করেছেন, কোন আত্রান্তের চিকিৎসা করবার সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা বা নার্সরা বেশকিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেন গ্রহণ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষদের নিশ্চিন্ত থাকার কথাই বলেছেন তিনি। স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা মারিয়া ভ্যান কারখোব আরও জানিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের বিভিন্নরকম চিকিৎসার সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এতদিন জানা গিয়েছিল, সাধারণভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায় রেস্পিরেটরি ড্রপলেট এর মাধ্যমে অর্থাৎ মানুষের হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে অন্যান্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বর্তমান গবেষণার নতুন তথ্য- করোনা ভাইরাস বাতাসেও প্রায় তিন ঘন্টার মতন বেঁচে থাকতে পারে।

ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গেলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর্মীদের n95 মাস্ক পড়তে হবে। যার দ্বারা 95 শতাংশ তরল কিম্বা বায়ুবাহিত কণা ফিল্টার হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিভাবে সুস্থ থাকা যায় তার খোঁজ নিতে গিয়ে কেউ কেউ বিশ্বাস করছেন গুজবে। কেউ ছড়াচ্ছেন গু… আর তার ফলেই আতঙ্ক হচ্ছে দ্বিগুণ। তাই বিশেষজ্ঞদের অনুরোধ সবার ক্ষেত্রেই, সচেতনভাবে করোনা ভাইরাস এর মোকাবিলা করুন। আতঙ্কে নয়, সতর্ক থাকুন। বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সাধারণ মানুষদেরও তাঁদের দিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে করোনার প্রতিরোধ করতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!