এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে পদচ্যুত তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেত্রী , শোরগোল রাজনীতি মহলে

দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে পদচ্যুত তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেত্রী , শোরগোল রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দল বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারিত করা হলো। তাঁদের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। যে ভোটে তাঁরা পরাজিত হন। অনাস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ চেয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে, হাইকোর্ট তাঁদের দাবি খারিজ করে দেয়া হয়। গতকাল আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। গতকাল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের খয়রামারি, সাদিখারদিয়ার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল।

গতকাল জলঙ্গি ব্লকের সাদিখারদিয়ার পঞ্চায়েত প্রধান রশিদা বিবির বিরুদ্ধে ভোট দেন ১৩ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও খয়রামারির পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবির বিরুদ্ধে ভোট দেন ১২ জন তৃনমূল সদস্য। আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন তাঁরা। আবার আগামী ৫ ই জুলাই জলঙ্গি ব্লকের ফরিদপুর, কাটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। ৬ ই জুলাই জলঙ্গির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই পঞ্চায়েত প্রধানেরা তৃণমূলের প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁরা দলের বিরুদ্ধে প্রচার করেছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁরা জেলা পরিষদ সদস্য রফিকা সুলতানার হয়ে প্রচার করেছিলেন। তিনি এবার বিধানসভা নির্বাচনে গোঁজ প্রার্থী হয়ে দাড়িয়েছিলেন। তবে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জলঙ্গি ব্লক তৃণমূল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, এই প্রধানেরা তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে একজন গোঁজ প্রার্থীর হয়ে তাঁরা প্রচার করেছেন। তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করবার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। এর সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রধানদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী তাঁদেরকে অপসারিত করে দেয়া হলো।

আবার, জলঙ্গীর তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, সাদিখারদিয়া, খয়রামারির পঞ্চায়েত প্রধানরা দল বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁরা নিজের এলাকায় প্রচার করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, পঞ্চায়েত আইন মেনে এই দুজন প্রধানকে সরানো হয়েছে। আগামী দিনে আরও তিনজন প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হবে। খুব দ্রুত এই পঞ্চায়েত গুলিতে নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!