দুই বিধায়কের কাঁদা ছোড়াছুড়ি প্রকাশ্যে, ‘আস্ত ছাগল’ থেকে ‘টাকা কামানো’ নিয়ে একগুচ্ছ বেনজির আক্রমণে সরগরম রাজনীতি! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 23, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে অহিনকুল সম্পর্ক। এক দলের নেতা হলেও তাদের দুজনের প্রায় মুখ দেখাদেখি নেই বললেই চলে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান দুজনে। আর এবার পাশাপাশি দুই কেন্দ্রের দুই তৃণমূল বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। যার মধ্যে একজন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং অন্যজন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। সূত্রের খবর, এদিন একটি বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান থেকে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডে। তিনি বলেন, “আমি সেইসব নেতাদের ঘৃণা করি, যারা সেখানে ইলিশ মাছ খায়, কাটাগুলো ফেলে রাখে। আমি দুঃখিত, যখন শুনি পাশের বড় পার্কে ইলিশ মাছ খাওয়ানো হয়েছে। এলাকায় বহু নিরামিষাশী থাকতেও, পার্কে ইলিশ মাছ খাওয়ানো হয়। বাড়িতে কি খেতে পান না! মাছ খেয়ে কাটা ফেলে রেখে যান।” পাশাপাশি নাম না করে তোলাবাজি নিয়েও পরেশ পালকে আক্রমণ করেন সাধনবাবু। তিনি বলেন, “ভয় দেখানো হচ্ছে। রাতে চার, পাঁচটি ছেলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টাকা আদায় করতে ফুলবাগানের মিষ্টির দোকানের সামনে স্ট্যাচু বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমএলএ পদ ছেড়ে দিয়ে টাকা কামাতে কি কাউন্সিলর হতে হবে! বড় নেতা নেত্রীদের বলে কোনো লাভ হয় না। তারা মনে করেন, যারা গুন্ডামি করে, তাদের গুন্ডামি করতে দিতে হবে। কেননা তারাও তো ইলিশ খেতে আসেন। ধান্দাবাজি চলবে না। ক্ষমতা থাকলে কেউ করুক। কিন্তু অন্যায় আমি হতে দেব না। তা করতে গেলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে।” স্বভাবতই দলের এক বিধায়ক সম্পর্কে আরেক বিধায়কের এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য প্রকাশ্যে আসায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে সাধন পান্ডে যখন তাকে আক্রমণ করে এই ধরনের কথা বলছেন, তখন পাল্টা তার জবাব দিয়েছেন পরেশ পাল। এদিন তিনি বলেন, “মন্ত্রীর মেয়ে তো রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করেন কেউ তো তাকে টেনে নিয়ে যায় না তার বাড়িতে কি বিধবা আছে তা তিনি জানেন না ইলিশ মাছের কাঁটা কি অসুবিধে।” এদিকে সাধন পান্ডের সম্পর্কে আরও অনেক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পরেশবাবু। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরের সময় থেকেই টাটাদের দালালী করেছে। কংগ্রেসে থাকার সময় সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়, বরকত গনিখান চৌধুরীর পেছনে লেগেছিল। সবাইকে অত্যাচার করে রক্ত মাংস খেয়ে নেয়।” বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে দুই বিধায়ক প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। যদি এই রকম ঘটনা চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে তৃণমূল কি করে সমন্বয় বজায় রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তা বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলাকে টার্গেট করে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই মানিকতলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু তারপর আর সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেননি সাধনবাবু। কিন্তু এবার যেভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে পরেশ পাল সম্পর্কে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এবং তার পাল্টা জবাব দিলেন পরেশবাবু, তাতে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদি অচিরেই তৃণমূলের এই দুই বিধায়ক নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে না নেন, তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দুই বিধায়কের গন্ডগোল মেটাতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -