দুই বিদ্রোহীকে বশে আনতেই বাড়তি গুরুত্ব? অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই নেওয়া হল বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য November 29, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন সেভাবে তিনি দলের গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী নিজের মত করে মালদহে দল পরিচালনা করেছিলেন। যার ফলে দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন মালদহ জেলায়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হওয়া এবং সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার তৃনমূলের অন্দরে সেই শুভেন্দুবাবু দলত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে যে সমস্ত জেলা ছিল, সেই জেলার দায়িত্ব নিয়ে এখন থেকেই সেখানকার সংগঠন সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই শনিবার বিকেলে নিজের দপ্তরে মালদহ জেলার কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠক থেকেই খবর পাওয়া যাচ্ছে, এবার মালদহ জেলার সংগঠনে আরও বেশি করে গুরুত্ব পাচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। পাশাপাশি মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট হওয়ায় তাকে নিয়েও বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। তাই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে, তিনি যাতে কোনো সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্য এবার তাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। জানা গেছে, জেলা তৃণমূলের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে কোন কমিটিতে আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একাংশ বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং গৌড় চন্দ্র মন্ডলের রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দুই নেতাকে বাড়তি ভাবে গুরুত্ব দিয়ে জেলায় দলের মেরুদন্ড শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কেননা শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে তিনি যে সমস্ত জেলার দায়িত্বে ছিলেন, সেখান থেকে অনেক নেতা তার পথ অনুসরণ করবেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরের দিনই মালদহ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সকল সদস্যদের ডেকে কলকাতায় বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং গৌড়চন্দ্র মন্ডলকে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। যার ফলে এক প্রকার এই দুই নেতাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাকে মেটানোর চেষ্টা করল। অর্থাৎ এই দুই নেতা যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করেন, যার কারণে অসুবিধায় পড়তে পারে দল, তার জন্যই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু এবং গৌড়বাবুকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “শনিবারের বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত ছিল। 23 নভেম্বর এই বৈঠকের কথা আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের এদিনের বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডলকে আমন্ত্রণ করার কথা। দলের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে দল যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে, তা নিয়ে তেমন ভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, “দল এমন কথা বলেছে কিনা, আমার নিজের জানা নেই। তবে আমি প্রথম দিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। নির্বাচন এগিয়ে আসছে। আমি বহু নির্বাচনে লড়েছি। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে দলের পাশে থাকার চেষ্টা করব।” জানা গেছে, আগামী 4 ডিসেম্বর তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার নেতাদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল নেতৃত্ব এখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় রয়েছে। যার কারণে যে সমস্ত জেলা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে ছিল, সেই জেলাগুলোতে নজর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে সেখানকার অনেক বসে পড়া নেতা তার সঙ্গে পা বাড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এদিন তড়িঘড়ি মালদহ জেলাকে নিয়ে বৈঠক করে জল্পনার শীর্ষে থাকা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং গৌড় চন্দ্র মন্ডলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা শোনা গেল তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। অর্থাৎ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই দুই নেতাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তারা যাতে দলত্যাগ বা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নেন, সেই চেষ্টাতেই সীলমোহর দেওয়ার চেষ্টা করল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -