এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসকদল! বিধানসভার আগে বাড়ছে বিড়ম্বনা!

দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসকদল! বিধানসভার আগে বাড়ছে বিড়ম্বনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভায় উত্তরবঙ্গের মাটি দখল করে নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপর থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে যাতে উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের দখলে আসে, তার জন্য সংগঠনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি নয়া কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে শাসক দল। কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল থাকলেও, এখন সবথেকে বেশি গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার হতে হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। এখানকার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যানীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোহন বসুর দ্বন্দ্ব এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

দলের শীর্ষ নেতারা বারবার এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হলেও, তাতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। এবার আবারও জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে সরব হলেন মোহন বসু। যার ফলে জেলা সভাপতির সঙ্গে মোহনবাবুর যদি এভাবেই বিরোধের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে কিভাবে একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করবে, তা নিয়ে বড় মাপের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে।

সূত্রের খবর, এদিন মোহন বসু বলেন, “দলে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। অনেক নেতাই দলীয় কর্মসূচিতে আসছেন না। এরকম থাকলে আগামী দিনের সংকট আরও বাড়বে।” অর্থ্যাৎ একথা বলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বর্তমান জেলা নেতৃত্ব সংগঠনের দিকে মনোযোগী হতে চাইছেন না। একাংশ বলছেন, তার এই মন্তব্যের পিছনে তিনি দলকে বিড়ম্বনায় ফেলা অপেক্ষা জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীকে বেশি অস্বস্তিতে ফেললেন। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি হিসেবে কিষান কল্যানী অস্বস্তিতে পড়লে গোটা দল যে অস্বস্তিতে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর দলের দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীরা যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতিয়ার করে বাজিমাত করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। কবে মিটবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? যেভাবে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মোহনবাবু সরব হচ্ছেন, তাতে জেলা সভাপতি তো অস্বস্তিতে পড়ছেন! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কল্যানী বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। এখানে সংগঠন আগের থেকে এখন অনেকটা ভালো। মোহন বসুর সময় সংগঠনের বেহালদশা ছিল।”

এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নেমেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দুলালবাবু। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের দলে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা সবাইকে নিয়ে একসাথে চলব। একুশের বিধানসভা ভোটে আমরাই ক্ষমতায় আসব।” সব মিলিয়ে এবার জলপাইগুড়িতে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে চাইলেও মোহন বসু বনাম কিষাণ কুমার কল্যাণীর দ্বন্দ্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!