এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার এই ইস্যুতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সঙ্ঘাত চরমে, নির্বাচনের আগে বাড়ছে উত্তাপ!

এবার এই ইস্যুতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সঙ্ঘাত চরমে, নির্বাচনের আগে বাড়ছে উত্তাপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পরই জগদীপ ধনকরের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বিবাদ তৈরি হতে দেখা যায় রাজ্য সরকারের। শুধু তাই নয়, আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। যার পাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে ধেয়ে আসে আক্রমণ। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা বিষয় নিয়ে রীতিমত পারদ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে বঙ্গ রাজনীতিতে। আর এবার নির্বাচনের আগে ফের রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত মাথাচাড়া দিতে শুরু করল।

জানা গেছে, এবার রাজভবনের অনুমোদন ছাড়াই বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হল। যেখানে উচ্চ শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে এই উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আচার্য তথা রাজ্যপালকে না জানিয়ে কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয় নিয়ে রাজভবনের পক্ষ থেকে যে সরকারকে প্রশ্ন করা হবে এবং তা নিয়ে যে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সঙ্ঘাত আরও বাড়তে শুরু করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের প্রশ্ন, কেন এইভাবে রাজ্যপালকে না জানিয়ে এইরকম নিয়োগ করা হল? উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন উপাচার্য নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ফাইল ফেরত আসেনি। ফলে বাধ্য হয়ে আগের উপাচার্যকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন রাজভবনে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সেই বৈঠকে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনোরুপ ফাইল ছাড়া যাবে না। আর এর পরেই স্টেট ইউনিভার্সিটি আইন প্রয়োগ করে উপাচার্য পদে মহুয়া দাসকে নিয়োগ করে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। তবে আচার্য তথা রাজ্যপালের এই ব্যাপারে দ্বিমত থাকার পরেও, যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হল, তাতে নতুন করে বিবাদ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যে কথাই বলা হোক না কেন, এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক বনাম সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনিতেই নানা বিষয় নিয়ে সরকার বনাম রাজভবনের মধ্যে বিবাদ তৈরি হতে দেখা গেছে। আর নির্বাচনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত যে রাজভবনকে অত্যন্ত ক্ষিপ্ত করে তুলবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার ফলে এখন নতুন করে নবান্ন বনাম রাজভবনের তরজা দেখতে হতে পারে বঙ্গবাসীকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!