এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > এবার কি আব্বাস কাঁটা কংগ্রেস শিবিরে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করবে? দুই কংগ্রেস নেতার বক্তব্যের বিরোধীতায় তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য

এবার কি আব্বাস কাঁটা কংগ্রেস শিবিরে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করবে? দুই কংগ্রেস নেতার বক্তব্যের বিরোধীতায় তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আইএসএফের সম্পর্কে যে ভালো নয়, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আগেই। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডের মঞ্চে অধীর চৌধুরীকে থামিয়ে দিয়ে আব্বাসকে মাইকে এগিয়ে দেওয়া নিয়ে সে সময় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। সেই ক্ষত যে মোটেই পুরনো হয়নি তা অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে পরিষ্কার। একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ। কার্যত শূন্যে শেষ করেছে কংগ্রেস এবং বাম। একটিমাত্র আসন লাভ করেছে আইএসএফ। আর তারপর থেকেই আইএসএফ এর সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

যদিও অধীর চৌধুরীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফ এর কোন সম্পর্ক নেই। আর তাই নিয়েই কংগ্রেস শিবিরে এবার ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গেল। প্রসঙ্গত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান কিছুদিন আগে দেখা করেন আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে। তারপর তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো এবং তা এখনো আছে। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, আইএএফ এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোন জোট ছিলনা এবং হবেও না। একই সাথে তিনি জানান, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের তরফ থেকেও যদি আইএসএফ এর সঙ্গে জোটের কথা বলা হয় তাহলেও তিনি ব্যাপকভাবেই বিরোধিতা করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রথম থেকেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট হয়েছিল বামেদের এবং বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছিল কংগ্রেসের। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের কোন দায় নেই আব্বাসের সঙ্গে জোট টিকিয়ে রাখার। কিন্তু রবিবার আব্বাসের সঙ্গে দেখা করার পর ঠিক উল্টো কথা বলেছেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তিনি স্পষ্ট জানান, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এমন কোন কথা সামনে আসেনি যা থেকে পরিষ্কার আব্বাসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট ভেঙে গিয়েছে। অন্যদিকে আব্দুল মান্নানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অধীর চৌধুরী পাল্টা জানান, রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে এমন কোনো নির্দেশ নেই, যেখান থেকে বোঝা যায় আইএএফ এর সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত আইএসএফের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের অন্দরে ভোট পরবর্তী পর্যালোচনায় এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল বলে জানা যায়। সুতরাং আগামী দিনে আইএসএফ এর সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয় কংগ্রেস। এবং সেক্ষেত্রে অধীর চৌধুরীর কথাই যে মুখ্য হয়ে উঠতে চলেছে, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে কংগ্রেস শিবিরে আব্দুল মান্নানের কথায় রীতিমতো গৃহযুদ্ধের আভাস। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!