এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে, বাড়ছে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

এবার রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে, বাড়ছে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য বিজেপিতে অন্তর্কলহের গুঞ্জন বহুদিন ধরে। বিভিন্ন সময় তা প্রকাশ্যেও এসেছে। তবে এতদিন পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের দুই শীর্ষ নেতার অন্তর্দ্বন্দ্ব এভাবে সামনে আসেনি বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রসঙ্গত, বিজেপির অন্যতম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বনাম রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মধ্যে এবার রাজনৈতিক চাপানউতোর বৃদ্ধি।

তবে এই চাপানউতোর বা বাকবিতণ্ডা সামনাসামনি নয়, বরং টুইটার যুদ্ধের মাধ্যমে একটু একটু করে বেড়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত, স্বপন দাশগুপ্ত সম্প্রতি টুইট করে জানিয়েছেন, প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছ থেকে তিনি কি শিখেছিলেন। প্রসঙ্গত সে বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন।

যার মধ্যে প্রথমটি হলো সাংবাদিকরা মাইক্রোফোন ধরলেই যে কিছু বলতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। দ্বিতীয়ত, নিজের মতামত কোন বিষয়ে প্রকাশ করতে হবে তার সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত। তৃতীয়তঃ, প্রত্যেকটি বিষয়ে নিজের মতামত জানাতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কোথাও নেই।

খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নাম না করলেও স্বপন দাশগুপ্তের আক্রমণের লক্ষ্য যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তা না বললেও বোঝা যায়। প্রসঙ্গত রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দিতেই দেখা যায় এবং দিলীপ ঘোষ তাঁর চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট দুর্নামের অধিকারী।

অন্যদিকে স্বপন দাশগুপ্তর টুইটের অভিমুখ যে দিলীপ ঘোষের দিকে, সে কথা প্রকারান্তরে মেনেও নিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। পাল্টা তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে যখন দলের কর্মীরা মার খাচ্ছে সে সময় সোশ্যাল মিডিয়া করে রাজনীতি করার সময় নয়। এখন বেশি করে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি কারোর নাম উল্লেখ করেননি। বরং তিনি তাঁর উপলব্ধির ব্যাখ্যা করেছেন। জানা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে স্বপন দাশগুপ্ত এবং দিলীপ ঘোষের সংঘাত পূর্ব পরিচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিধানসভা নির্বাচনে হুগলির তারকেশ্বর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন এই স্বপন দাশগুপ্ত। সেসময় তিনি রাজ্যসভার সদস্য পদ ছেড়ে এসেছিলেন। ভোট মিটে যাওয়ার পর আবারও রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হয়েছেন। বরাবরই দেখা গেছে, স্বপন দাশগুপ্ত বরাবরই কেন্দ্রীয় নেতাদের পছন্দের নেতা। অন্যদিকে স্বপন দাশগুপ্ত ভোটের পর এভাবে নিয়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ অনুগামীদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ জমেছিল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ শিবিরের এক নেতার বক্তব্য হল, তারকেশ্বরে প্রার্থী হলেও স্বপন দাশগুপ্ত এখন আবার চলে গিয়েছেন রাজ্যসভায়।

তিনি পরিযায়ী নেতার মতন এসেছিলেন, ভোটে লড়েছেন, চলে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভার নির্বাচনে যদি বিজেপি জয়লাভ করতো তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম উঠেছিল স্বপন দাশগুপ্তর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে রাজ্য বিজেপি বঙ্গভঙ্গ নিয়ে তীব্র অস্বস্তির মুখে, ঠিক সেসময় দিলীপ ঘোষ এবং স্বপন দাশগুপ্তের এই তরজা গেরুয়া শিবিরের অস্বস্থি আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিল। আপাতত এই কোন্দল কোথায় গিয়ে থামে, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!