এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঈদে লকডাউন যদি হলে মনসাপুজোয় নয় কেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বড়সড় দাবি হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের!

ঈদে লকডাউন যদি হলে মনসাপুজোয় নয় কেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বড়সড় দাবি হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লকডাউনের দিনক্ষণ ও ধর্মীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। ঈদের দিন লকডাউনের কথা ঘোষণাকরা হয়নি। তবে মনসা পূজোর দিন অর্থাৎ আগামী 17 আগস্ট লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যে মনসা পূজো বাঙালির ঘরে ঘরে হয়, সেই পুজোর দিনে যদি লকডাউন হয়, তাহলে মানুষ কিভাবে দোকান বাজার করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে।

তাদের বক্তব্য, ঈদের সময় যদি সেই দিনটিকে লকডাউন থেকে বাদ রাখা যায়, তাহলে বাঙালি তথা হিন্দুদের মনসাপূজো কেন লকডাউন থেকে বাদ রাখা হবে না? কেন সকল ধর্মের উৎসব পালনের ক্ষেত্রে রাজ্য এক সিদ্ধান্ত নেবে না? তাই এই পরিস্থিতিতে মনসা পূজোর দিন লকডাউন যাতে উঠিয়ে দেওয়া যায়, তার ব্যাপারে পুরুলিয়ার মানুষের সমস্যার কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি টুইট করলেন বিধায়ক নেপাল মাহাতো।

সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “মনসা পূজো পুরুলিয়া বাঁকুড়ার মানুষের কাছে শুধু পুজো নয়, লোকউৎসব। 17 তারিখ পুজোর দিনে লকডাউন থাকলে অনেকেই অসুবিধায় পড়বেন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি মনসা পূজার দিন লকডাউনের বাইরে রাখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে সেই অনুরোধ জানিয়েছি।” একইভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এই ব্যপারে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শিথিল করা যায়, তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে. জানা গেছে, পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরী এই দিনটিতে নিয়ে তাঁর আপত্তির কথা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছেন‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, “মনসা পূজোর দিন লকডাউন হলে জেলার অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারেন। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।” অন্যদিকে 16 এবং 17 তারিখ পুনর্বিবেচনা করার বিষয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বলরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।

স্বাভাবিক ভাবেই শুধু যে বিরোধীরা নয়, রাজ্যের শাসক দলের নেতারাও যে এই মনসা পূজোর দিন লকডাউনের ঘোষণা করায় কিছুটা হলেও চিন্তিত, তা তাদের কথায় ফুটে উঠেছে‌। একইভাবে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “উৎসবের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে লকডাউনের দিন ঘোষণা করলেন। কিন্তু পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার এই উৎসব নিয়ে উদাসীন। আমরা কিছু বললেই বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। আমাদের প্রশ্ন, এই এলাকার মানুষের উৎসব কি উৎসবের মধ্যে পড়ে না।”

অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ যাতে মনসা উৎসবে যোগ দিতে পারেন, সেই কথা জানিয়েছেন জেলা সিপিএমের সম্পাদক প্রদীপ রায়। এখন দলমত নির্বিশেষে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার সার্বিক মনসা পূজার উৎসবকে কেন্দ্র করে সেদিন যাতে লকডাউন কিছুটা হলেও রদ করা যায়, তার ব্যাপারে সরকারের কাছে শাসক বিরোধীদের আবেদন কতটা গ্রাহ্য হয় এবং এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!