এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একের পর এক মহারথীর দানা ছাঁটা হচ্ছে তৃণমূলে! তুমুল জল্পনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ!

একের পর এক মহারথীর দানা ছাঁটা হচ্ছে তৃণমূলে! তুমুল জল্পনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে শাসকদল তৃণমূলে নতুন করে জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি গঠনের কাজ চলছে জেলায় জেলায়। পুরনো জেলা ও ব্লক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। এই নতুন কমিটিতে অনেক সময় নতুন মুখ আনার চেষ্টা চলছে। এর ফলে পুরনো পদাধিকারীরা অনেকে অপসারিত হচ্ছেন, কিংবা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন। যাঁরা অনেকেই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন দলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নদীয়া জেলায় নতুন করে জেলা কমিটি গঠন করা হলো। নতুন জেলা কমিটিতে বাদ গেলেন কিংবা গুরুত্বহীন হয়ে গেলেন দলের অনেক প্রাক্তন হেভিওয়েট। অনেকের ক্ষমতাই হ্রাস করা হলো।

দলের জেলা কমিটিতে দুই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা গৌরীশঙ্কর দত্ত ও পুন্ডরীকাক্ষ সাহাকে শুধুমাত্র আমন্ত্রিত সদস্য করে রেখে দেয়া হলো। যার ফলে ক্ষুব্দ হলেন দলের অনেকেই। অনেকই জানালেন যে, বর্ষীয়ান এই দুই নেতাকে গুরুত্বহীন করে দিয়ে দলের বিরোধ, বিভাজন তথা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আরও পোক্ত করে দেয়া হলো। দলের ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর হাতে চলে গেল অধিক ক্ষমতা। আবার গৌরীশংকর দত্তের বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত তেহট্ট ১ ব্লকের ব্লক সভাপতিকে অপসারিত করা হলো। তবে নতুন জেলা কমিটি গঠন সম্পর্কে গৌরীশংকর বাবু জানালেন যে, খুবই ভালো হয়েছে।

অন্যদিকে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর সিংহকে দলের উপদেষ্টা মন্ডলীকে স্থান দেয়া হলো। কিন্তু তার অনুগামীদের বিভিন্ন ব্লক ও শহর কমিটি থেকে অপসারিত করে দেয়া হলো। কুপার্স ক্যাম্প, তাহেরপুর, বীরনগর শহর সভাপতির পদ থেকে অপসৃত করা হলো তার অনুগামীদের। আবার, গয়েশপুরের সভাপতি বদল করা হলো। দলের এই নতুন কমিটি গঠন সম্পর্কে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শঙ্কর সিংহ জানালেন জানালেন, “ ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, নতুন জেলা সভাপতি দলকে আরও গতিশীল করে তুলুন। ” তবে, শঙ্করবাবুর ছেলেকে জেলা সম্পাদক করা হলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁকে উপদেষ্টামন্ডলীতে রাখা হলেও তাকে শক্তি হীন করে দেয়া হয়েছে। নাকাশিপাড়া ব্লক সভাপতি অশোক দত্তকে অপসারিত করা হলো পদ থেকে। যাতে কল্লোল বাবুর যথেষ্ট আপত্তি ছিল। তবে, এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানান নি তিনি। তাঁকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।

শুধুমাত্র মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে গেলেন। কিন্তু তৃণমূল দলের একেবারে শুরু থেকেই যাঁরা দলের নেতা কর্মী ছিলেন, তাদের অনেককেই গুরুত্বহীন করে দেয়া হলো। চাকদহ ব্লক সভাপতি পদে দিলীপ সরকারকে রাখা হল। কিন্তু, রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর কে গুরুত্বহীন আমন্ত্রিত অতিথি করে দেয়া হলো। এছাড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু উপদেষ্টামন্ডলী স্থান পাননি। পলাশিপাড়ার তাপস সাহা যিনি জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ বিধায়ক বলে পরিচিত, তিনি উপদেষ্টামন্ডলী স্থান পেয়েছেন।

আবার, হাঁসখালি ব্লককে দুটো ভাগে বিভক্ত করা হলো। সেখানেও নতুনমুখ আনা হলো। কৃষ্ণনগর ব্লক সভাপতি করা হলো শিবনাথ চৌধুরীকে। জেবের শেখকে ব্লক সভাপতি রাখা হয়েছে এ বিষয়ে রুকবানুর রহমানের প্রবল আপত্তি ছিল। এ প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র জানালেন, ” সবাইকে অর্থাৎ পুরনোদের পাশাপাশি অন্য দল থেকে আসা বা তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে আবার তৃণমূলে ফিরে আসা নেতাদেরও কমিটিতে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।” তবে, একেবারে জন্ম লগ্ন থেকে যারা তৃণমূল করে আসছেন, দলের সেই সমস্ত প্রবীণ ও বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের গুরুত্বহীন করে দেওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!