এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যুব সহ-সভাপতির মৃত্যুর পর বিজেপির সদরদপ্তরে ঝুলল তালা, কারণ নিয়ে শুরু জল্পনা

যুব সহ-সভাপতির মৃত্যুর পর বিজেপির সদরদপ্তরে ঝুলল তালা, কারণ নিয়ে শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিজেপির সদরদপ্তর হেস্টিংস এর কার্যালয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজ্য বিজেপির যুব সহ-সভাপতি রাজু সরকারের। আর তারপরেই হেস্টিংস এর কার্যালয়ে ঝুলল তালা। হেস্টিংস থেকে এবার সাংগঠনিক দপ্তর সরিয়ে নিল বিজেপি। অবশ্য এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন আগেই নেওয়া অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই নেওয়া হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত আটকে ছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগ্রহণ। কিন্তু রাজু সরকারের মৃত্যু সেই সিদ্ধান্তকে পাকাপাকি করে দিল। এবার হেস্টিংসের অফিস থেকে সরে এল বিজেপির সাংগঠনিক দপ্তর। আপাতত  মুরলীধর সেন লেনের অফিসেই বসবে বিজেপির সাংগঠনিক দপ্তর।

হেস্টিংসের মোড়ে যে বহুতল ভাড়া করেছিল বিজেপি, তার সবকটি ঘর অবশ্য এখনই ছাড়া হচ্ছেনা। কার্যত পাঁচতলার অডিটোরিয়াম এবং নতলার ঘরগুলি রেখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেখানে মূল সাংগঠনিক কাজকর্ম হতো সেই আটতলা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকেই হেস্টিংস ছেড়ে চলে এসেছেন মুরলীধর সেন এর অফিসে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হেস্টিংস মোড়ে আগরওয়াল হাউজের পাঁচটি তলা বিজেপি ভাড়া নিয়েছিল। বলা হয়েছিল মুরলীধর সেন লেনের সদর দপ্তরটি অত্যন্ত পুরনো এবং সেখানে জায়গা অনেক কম। পাশাপাশি সেখানে কোন আধুনিকীকরণ করা যাবেনা।

অন্যদিকে নির্বাচনের সময় যেভাবে প্রতিদিন দলীয় দপ্তরে ভিড় বাড়ছিল, তা পুরনো পার্টি অফিসে সামাল দেওয়া সম্ভব ছিলনা। তাছাড়া প্রচুর কেন্দ্রীয় নেতা, রাজ্যনেতা, বিভিন্ন জোনের পর্যবেক্ষক প্রত্যেকের আলাদা ঘরের প্রয়োজন ছিল। যে কারণে হেস্টিংসের অফিস নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য ছিল, ক্ষমতায় না এলেও দল বেড়েছে। তাই রাজ্য সদর দপ্তর থেকে সবকিছু সামলানো সম্ভব নয়। তাই হেস্টিংসের অফিস রাখা হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নেতৃত্বের অনেকাংশেরই বক্তব্য ছিল, হেস্টিংস এর অফিস বন্ধ করে খরচা কমানো হোক। কার্যত ভোটের সময় যেসব কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছিলেন এ রাজ্যে তাঁরা সবাই ফিরে গিয়েছেন। ফলে সদর দপ্তরের বেশকিছু ঘর খালি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি নতুন ঘর তৈরি হয়েছে। তাই মুরলীধর লেনের অফিসে এবার সবাই বসতে পারবে। কার্যত হেস্টিংসের অফিসে রাজু সরকারের মৃত্যুর পর হেস্টিংসের অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেটি আটকে ছিল এতদিন, তা তড়িৎগতিতে সম্পন্ন হল।

রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে সাংগঠনিক কার্যকলাপের জন্য একটাই কেন্দ্র থাকবে। কোন সমান্তরাল দপ্তর আর থাকবেনা। তবে হেস্টিংসের অফিস বন্ধ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক কানাঘুষো। অনেকেই মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর হেস্টিংসের অফিস কার্যত ফাঁকা থাকছে। আর তাই সেখান থেকে অফিস সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সব মিলিয়ে গুঞ্জন যে একটা তৈরি হয়েছে এবং তা অফিস সরিয়ে নিয়ে আসায় যে বাড়লো তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!