এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একই শহরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দুই পৃথক বিজয়া সম্মেলনী, অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলে!

একই শহরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দুই পৃথক বিজয়া সম্মেলনী, অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলে!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনকে দিন রাজ্যে তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত তৃণমূলের অন্দরমহলে যে কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে, তাকে হাতিয়ার করে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে উদ্যত হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে কার্যত ব্যর্থ। সূত্রের খবর, শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দুটি পৃথক বিজয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।

জানা গেছে, রবিবার সকাল ন’টায় শহীদ মাতঙ্গিনী স্বদেশ বাজার চত্বরে তমলুক শহর তৃণমূলের উদ্যোগে একটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র। আবার একই দিনে দুপুর দু’টায় তমলুক পৌরসভার সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরেকটি বিজয় সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়।

যে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন পৌরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন এবং প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দীপেন্দ্র নারায়ন রায়। আর দুটি পৃথক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছে। তারমধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এই পৃথক সমাবেশ শাসকদলের অস্বস্তিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে পৃথক দুই সম্মেলনে দলের অনেক কর্মী থেকে শুরু করে নেতারা দুই জায়গায় এই দুই ধরনের সমাবেশ নিয়ে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত। এদিন এই প্রসঙ্গে শহর তৃণমূলের অন্যতম নেতা মানব মিশ্র বলেন, “আমরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে অনুপ্রাণিত হই এবং দলের কর্মী হিসেবে কাজ করি। কিন্তু শহর কমিটি বিজয়া সম্মেলনীর সঙ্গে তৃণমূল পরিবারের নাম দিয়ে যেভাবে বিজয় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কোন সভায় যাব, বুঝতে পারছি না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে 15 নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে বলেছেন। আর সেই সময় শহরের নেতারা নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী তৈরি করে একই দিনে সম্মেলনের আয়োজন করছেন। কোন গোষ্ঠীর কর্মসূচিতে যাব, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছি।” স্বভাবতই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যেখানে প্রধান কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, সেখানে কেন বিজয়া সম্মিলনীতে এভাবে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গেল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে দলের নেতাকর্মীরা কি করবেন, তা অনেকের কাছেই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন তারা পৃথক কর্মসূচি করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র বলেন, “জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর সম্মতি নিয়েই আমরা বিজয়া সম্মিলনী এবং রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমাদের কর্মসূচিতে শিশিরবাবু এবং দিব্যেন্দু অধিকারী থাকবেন। আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে বিভ্রান্তি তো কিছু নেই।”

তবে তৃণমূল পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টা যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, সেই ব্যাপারে যুক্তি দিয়েছেন সেখানকার উদ্যোক্তা দীপেন্দ্র নারায়ন রায়। তিনি বলেন, “দলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করতে আমরা অনেক আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। এর মধ্যে দলের একাংশ আরেকটি বিজয় সম্মিলনীর কর্মসূচি নিয়েছেন। আমাদের কর্মসূচিতে জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তাই আমন্ত্রণপত্রে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রচার করা হচ্ছে।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে এই দুই গোষ্ঠীর পৃথক পৃথক বিজয় সম্মেলন তৃণমূলের অন্তর্কোন্দলকে প্রকাশ্যে এনে দিল, তাতে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আড়াআড়িভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এই দ্বন্দ্বে মশগুল থাকলে তারা কিভাবে বিজেপিকে কুপোকাত করবে, সেই ব্যাপারে চিন্তা রয়েছে দলের কর্মী-সমর্থকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!