প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। কিন্তু সব থেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের আন্দোলন। বারবার সেই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করা হলেও, কোনোমতেই তা থামতে দেখা যাচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তাদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে বলে দাবি করেছে কৃষক সংগঠনগুলো।

অবিলম্বে কৃষি আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আধুনিক কৃষি আইন নিয়ে পিছু হটা হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আর যদি কেন্দ্র এই ব্যাপারে তাদের সুর নমনীয় না করে, তাহলে কৃষকদের বিক্ষোভ যে চরম আকার নেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে এখন কৃষকদের বিক্ষোভ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে কার্যত ঘোরালো হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লির সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান প্রায় 37 দিনে পৌঁছে গেছে। ঠান্ডার মধ্যে কৃষকরা যেভাবে প্রতিবাদ আন্দোলনে খোলা রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। কিন্তু বারবার এই কৃষক আইন নিয়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করলেও, সেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনোরকম সুর নরম করা হয়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে জটিলতা। আর এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ার কথা শুনিয়ে রীতিমত বিজেপির ঘুম উড়িয়ে দিল কৃষক সংগঠনগুলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বৈঠকের পর সংযুক্ত কিষান মোর্চার এক নেতা বলেন, “আমরা হরিয়ানার সব শপিং মল, টোল প্লাজা এবং পেট্রলপাম বন্ধ করে দেব। কুন্দলি মানেশ্বর হাইওয়েতে ট্রাক্টর মিছিল করা হবে। সব বাধা ভেঙ্গে দিল্লিতে যাওয়া হবে। আর সব জায়গায় বিজেপি নেতারা বিক্ষোভের মুখে পড়বেন।” স্বাভাবিকভাবেই এই কৃষকরা যে বিজেপির বিরুদ্ধে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কৃষকরা যদি এইভাবে বিক্ষোভ চালাতে শুরু করেন এবং তাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা, তাহলে পরিস্থিতি যে বিজেপির একেবারে বিরুদ্ধে চলে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

আর এই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর নিতে শুরু করে, তাহলে বিজেপি কিভাবে তাকে সামাল দেবে, সেটা বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাংশের কাছে। কেন বিজেপির পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়ে আলোচনায় বসা হচ্ছেনা এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, “সোমবার গোটা পরিস্থিতির সমাধান হয়ে যাবে।” কিন্তু এখনও পর্যন্ত যেখানে কৃষকরা তাদের সুর নরম করেনি, সেখানে কিভাবে গোটা পরিস্থিতির সমাধান হবে, এখন সেটাই গুঞ্জনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে। সব মিলিয়ে কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের হুঁশিয়ারি গেরুয়া শিবিরকে যে অনেকটাই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।