এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফিরে আসতে পারে আমপানের স্মৃতি? আশঙ্কা উস্কে বড় বার্তা মমতার!

ফিরে আসতে পারে আমপানের স্মৃতি? আশঙ্কা উস্কে বড় বার্তা মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এক বছর কাটতে না কাটতেই আবার দুর্যোগ কড়া নাড়ছে বাংলার দুয়ারে। একদিকে করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে ইয়াসের মাথাচাড়া দেওয়ার আতঙ্ক রীতিমত ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই সমুদ্রের উচ্ছ্বাস মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাসিয়ে দিয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্যোগ আটকাতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল রাজ্য প্রশাসন।

তবে তা সত্ত্বেও যেভাবে বুধবার থেকে দাপটের সঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে, তাতে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি সামনে এসেছে। অনেক বাড়িঘর যেমন নষ্ট হয়ে গিয়েছে, ঠিক তেমনই বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এত বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও, এক বছর আগের ইতিহাস নামক ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে আবার ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। আর সেই জল্পনা আরও জোরালো হল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।

বস্তুত, বুধবার সকাল থেকেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস” উড়িষ্যায় আছড়ে পড়ে। আর তার প্রভাব পড়ে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। মেদিনীপুরের দীঘার সমুদ্র সৈকত রীতিমত গর্জন শুরু করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ দুর্যোগ এবং ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেক গাড়ি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আশ্রয়কে। এমনকি কলকাতা এবং তার সংলগ্ন জেলাগুলোতেও ভয়াবহ দুর্যোগের ছবি চোখে পড়ে।

আর এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত জায়গায় দুর্যোগ শুরু হয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যাতে আগেভাগেই ভেঙে না পড়ে, তার জন্য অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে এক বছর আগে ভয়াবহ দুর্যোগ আমফানের পর যেভাবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে গিয়েছিল, এবার আগে থেকেই সচেতন থাকবার জন্য সেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ করে তা কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মানুষের এই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার কারণে সমস্যা থাকলেও যাতে দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ কোনোভাবেই নষ্ট না হয় এবং বড় কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই সতর্কতামূলক বার্তা বলে মনে করছেন একাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বছর আগে একইভাবে আমপান নামক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কারণে মেদিনীপুর সহ কলকাতা এবং তার পাশের এলাকার মানুষকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। গাছের ডাল পড়ে গিয়ে অনেক বিদ্যুতের পোল ভেঙে গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাহত হয়েছিল পরিষেবা।

সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। এমনকি বিরোধীদের পক্ষ থেকেও লাগাতার কটাক্ষ করা হয়েছিল। তবে এবার যাতে সেরকম আর কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আগে থেকেই সচেষ্ট ছিল রাজ্য প্রশাসন। কন্ট্রোল রুম করার পাশাপাশি প্রতিটি জেলার দায়িত্বে ছিলেন উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তারা। রাত্রিবাস করে সমস্ত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে তার মাঝেও যখন বুধবার “ইয়াস” আছড়ে পড়ার আতঙ্কে প্রমাদ গুনছেন সকলে, ঠিক তখনই কলকাতার দুর্যোগ দেখে বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা যে কিছুটা ব্যাহত হতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কার কথা শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তবে মানুষকে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা। যা কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!