এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গৌতমের অভিযোগের খেসারত! পদ খোয়ালেন দোলা ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট!

গৌতমের অভিযোগের খেসারত! পদ খোয়ালেন দোলা ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2021 এর সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে অনেক বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করলেও অনেক জেলা থেকেই গোষ্ঠী কোন্দলের খবর আসতে শুরু করে। যেখানে তৃণমূলের অনেক পরাজিত প্রার্থীরা তাদের পরাজয়ের পেছনে দলের অনেক নেতার কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সেই মতো করে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অনেক নেতাকে বহিষ্কার করার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদ্য প্রাক্তন সভাপতি গৌতম দাস গঙ্গারামপুর আসনে পরাজিত হয়ে যাওয়ার পর তিনি বেশ কিছু নেতার পাশাপাশি জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মজিরুদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

যেখানে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু তারপরেও সেই মজিরুদ্দিন মন্ডলকে নিয়ে নানা জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেখানে শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রী দোলা সেনের সঙ্গে মজিরুদ্দিন মন্ডলের সু-সম্পর্ক থাকার কারণে তৈরি হয় দড়ি টানাটানি। এমনকি জেলা সভাপতির পক্ষ থেকে মজিরুদ্দিন মন্ডলকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও,, দোলা সেনের উপস্থিতিতে সেই মজিরুদ্দিন মন্ডল দলের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। যার ফলে উষ্মা প্রকাশ করেন তৎকালীন জেলা সভাপতি গৌতম দাস। তবে এবার কি সেই গৌতমবাবুর অভিযোগেই সীলমোহর দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শ্রমিক সংগঠনে এল বড়সড় পরিবর্তন? ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলার সংগঠনের রদবদল করা হয়। যেখানে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাদার সংগঠনে বদল করার পাশাপাশি বদল আনা হয় শ্রমিক সংগঠনেও। সর্বভারতীয় নেত্রী দোলা সেনের সঙ্গে মজিরুদ্দিন মন্ডলের সম্পর্ক ভালো থাকলেও, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শ্রমিক সংগঠনের ক্ষেত্রে মজিরুদ্দিন মন্ডলের উপর যে ভরসা রাখছে না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। মূলত, এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গৌতম দাসকে। কিন্তু সেই গৌতমবাবুর অভিযোগকেই সীলমোহর দিয়ে মজিরুদ্দিন মন্ডলকে জেলার শ্রমিক সংগঠনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। যে জায়গায় আনা হয়েছে রাকেশ শীলকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস যে কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির মধ্যে নতুন এবং পুরনোদের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে। মূলত, “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মনে করছেন একাংশ। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি এই বিষয় নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছিল বিভ্রান্তি।

তবে অবশেষে গোটা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যেখানে মজিরুদ্দিন মন্ডলের বদলে রাকেশ শীলকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি করে গৌতম দাসের কথা রাখার চেষ্টা করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন একাংশ। সেদিক থেকে শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রী তথা সাংসদ দোলা সেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মজিরুদ্দিন মন্ডলের ডানা ছাঁটা গেল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!