এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির বাকি বিপুল টাকা! কেন্দ্রকে চেপে ধরতে বিশেষ পদক্ষেপ ডেরেক-কল্যাণের

জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির বাকি বিপুল টাকা! কেন্দ্রকে চেপে ধরতে বিশেষ পদক্ষেপ ডেরেক-কল্যাণের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে করোনা সংক্রমনের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষিত হয়, বর্তমানে চলছে যার আনলক পর্ব। করোনা সংক্রমনের ফলে দেশের অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকার। একারণেই রাজ্যগুলিকে জিএসটির আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্র আইনত বাধ্য হলেও করোনা সংক্রমণ হেতু আর্থিক ক্ষতির কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য গুলির আর্থিক ক্ষতিপূরণ দানে ব্যর্থ হয়েছে। এবং রাজ্য সরকার গুলিকে কেন্দ্র একথা জানিয়েও দিয়েছে ।এদিকে রাজ্যগুলি এই অর্থ না পেয়ে নানা সমস্যায় পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের জিএসটি বাবদ বকেয়া প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারকে জিএসটি নিয়ে চেপে ধরতে উদ্যোগী হচ্ছে দেশের বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। আর এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত অল্প কিছুদিন আগে করোনা সংক্রমণকালে সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও নিট ইউজি পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছিল একাধিক রাজ্য সরকার। এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ইস্যুতে মিলিত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতৃবর্গ। সেই বৈঠকে জিএসটি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বিরোধী নেত্রীবর্গের।

জিএসটি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কিভাবে চেপে ধরা যায় তার ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। আগামী পহেলা অক্টোবর পর্যন্ত যা চলবে। শনি রবিবারেও সংসদের অধিবেশন চালু রাখা হবে। প্রসঙ্গত এই বাদল অধিবেশনে কোন প্রশ্ন-উত্তর পর্ব রাখা হচ্ছে না ফলে। কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য সরকারগুলির কোন প্রশ্ন করার উপায় নেই। জিরো আওয়ার থাকলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উত্তরদানে বাধ্য করা যাবে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রকে দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ দেবার পরিকল্পনা করলেন। যা করলে কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিতেই হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে লোকসভায় এই দৃষ্টি আকর্ষণী বা কলিং অ্যাটেনশন নোটিশ জমা দিলেন তৃণমূল দলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুরূপভাবে রাজ্যসভায় এই নোটিশ জমা দিলেন ডেরেক ওব্রায়ান। রাজ্যের প্রাপ্য জিএসটি বিষয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন তারা। তৃণমূলের মতো কংগ্রেসের সাংসদ জয়রাম রমেশও এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছেন।

গতকাল রবিবার জিএসটি বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে রাহুল গান্ধীকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” দেশের জিডিপি খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হল মোদি সরকারের গব্বর সিং ট্যাক্স। এর জন্যই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপদে পড়েছে। বহু লোক চাকরি খুইয়েছে। রাজ্যগুলির আর্থিক অবস্থাও খারাপ। জিএসটি মানেই সর্বনাশ।”

তৃণমূল ও কংগ্রেস দল প্রয়াস চালাচ্ছেএনসিপি, ডিএমকে, আরজেডি, আপ, এসপি, বিএসপির মত রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে তাদের পাশে পেতে ও একজোট হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই জারি করতে। সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে নিয়েছেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় নেতৃবর্গ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!