লকডাউনে বাড়িতে বসেই হতে পারেন নিঃস্ব! করোনার সময় অনলাইন প্রতারণা চক্র থেকে হন সাবধান! জাতীয় বিশেষ খবর April 10, 2020 করোনার জেরে লকডাউন চলছে এবং লকডাউন এর ফলে সমস্ত রোজগারের পথ এই মুহূর্তে বন্ধ। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিস এই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় বেশ কিছু মানুষের জন্য আর্থিক সুবিধা এনেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, যাদের ইএমআই দেওয়ার আছে, তাঁদের আগামী তিন মাসের জন্য ইএমআই দিতে হবে না। এই ঘোষণার ফলে দেশের বহু মানুষ আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু এই অবস্থায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যাংক জালিয়াতি গোষ্ঠীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাংকের কথামতো বিভিন্ন ব্যাংক মাসিক ইএমআই স্থগিত রাখার জন্য তাঁদের গ্রাহকদের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু অনেক ব্যাংক কর্তৃপক্ষই এর সাথে সাথে গ্রাহকগণকে সাবধান করেছেন জালিয়াতি চক্রের কাণ্ডকারখানা নিয়ে। যদিও বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষরা নিজেরাই জানান, সাবধান করা সত্বেও গ্রাহকরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথায় কোন আমল দেননা। ইতিমধ্যে গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মেসেজ গেছে ইএমআই স্থগিত রাখার জন্য ব্যাংকের কাস্টমার আইডি, নেট ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড, ইউপিআই পিন, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড অর্থাৎ ওটিপির মতন কোনো গোপন তথ্য জমা দিতে হবেনা। সুতরাং, কেউ যদি কোন গ্রাহককে এ ধরনের তথ্য দেবার দাবি করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারে জানালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই জালিয়াতি চক্র অতিমাত্রায় সজাগ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে এখন তাঁরা ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা ব্যাংকের নাম করে লিংক পাঠিয়ে দেয়। সেই লিংকে ক্লিক করলেই ঘটে যাবে বড় বিপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইনে যদি ব্যাংকের কোন কাজ করা হয় বা লেনদেন করা হয়, তাহলে তার আগে পুরো ব্যাপারটি যাচাই করে নিয়েই করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, যেকোনো সংকটের সময় জালিয়াতি চক্র বিশেষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই জালিয়াতি চক্রের সক্রিয়তা এড়াতে কোনো তাড়াহুড়ো না করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সর্তকতা অনুযায়ী কাজ করলেই ফল মিলবে বলে জানানো হচ্ছে। যেহেতু লকডাউন চলছে, সেহেতু ব্যাংকের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের ওপর অনলাইনে কাজ করার। কারণ ব্যাংকের সামনে ভিড় করলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি-নিষেধ মানা সম্ভব হবেনা। তাই প্রতিটি ব্যাংক তাঁর গ্রাহকগণকে অনুরোধ জানিয়েছেন, বাড়িতে বসে ব্যাংকের সমস্ত কাজ করার জন্য অনলাইন পরিষেবা ব্যবহার করতে। কিন্তু সেই পরিষেবা ব্যবহার করতে গিয়ে জালিয়াতির চক্করে যাতে না পারেন গ্রাহকরা, তার জন্যও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছেন বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -