এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ২৩ শে মে তৃণমূল ২০-এর নীচে নেমে গেলেই ‘হেভিওয়েট উইকেটের’ পতন সেদিনই, তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরে

২৩ শে মে তৃণমূল ২০-এর নীচে নেমে গেলেই ‘হেভিওয়েট উইকেটের’ পতন সেদিনই, তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরে

দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র শেষ দফার নির্বাচন বাকি আগামী রবিবার। আর তারপর সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টা থেকেই সামনে আসতে শুরু করবে বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোল – যাতে মোটামুটি একটা আভাস পাওয়া যাবে কাদের হাতে যেতে চলেছে দেশের পরবর্তী কেন্দ্র সরকারের ভার। আর তা একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে সুস্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী ২৩ শে মে, যেদিন সকাল ৮ টা থেকে ইভিএম খুলে চলবে ভোটগণনা।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল, বাংলা থেকে তারা ৪২ এ ৪২ দখল করতে চলেছে। শুধু তাই নয়, একধাপ এগিয়ে অত্যুৎসাহী তৃণমূল শিবিরের দাবি ছিল, নরেন্দ্র মোদিকে সরিয়ে সেই ৪২ আসন পাওয়ার জোরে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম হতে চলেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তৃণমূলের সেই দাবির পাল্টা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় অবশ্যই করে ফিরতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।

শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই দ্বিতীয় জামানায় অন্যতম অবদান নাকি থাকবে বাংলার, কেননা বাংলা থেকে ন্যূনতম ২২-২৩ টি আসন জিতবে গেরুয়া শিবির। তবে ষষ্ঠ দফার শেষে যা ভোট হয়েছে – তাতে গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজারদের দাবি আর ২২-২৩ নয়, বিজেপি এবার নাকি বাংলা থেকে ৩০ টির বেশি আসন পেতে চলেছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় তো বলেই দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা এবার নাকি ২০-এর নীচে নেমে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের আসন সংখ্যা সত্যিই যদি ২০-এর নীচে নেমে যায়, তবে আরও বড় ধাক্কা নাকি অপেক্ষা করে আছে ঘাসফুল শিবিরের জন্য। কি সেই ধাক্কা? কেউই সুস্পষ্ট করে কিছু বলছেন না, তবে আকারে-ইঙ্গিতে যা শোনাচ্ছেন, তার সারমর্ম দাঁড়ায়, যদি সত্যিই বাস্তবে তৃণমূল ২০-এর নীচে নেমে যায়, তাহলে সেদিনই এক ‘হেভিওয়েট উইকেটের’ পতন ঘটবে! কে এই ‘হেভিওয়েট উইকেট’? নাম নিচ্ছেন না কেউই, তবে এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম প্রভাবশালী যুবনেতা এই নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দিলেন।

তাঁর কথায়, যে নেতাকে নিয়ে জল্পনা বাড়ছে, তিনি রাজ্য-রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী, অন্তত তিনজন সাংসদের তাঁর পাশে থাকবেন। এছাড়াও রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তিনি নাকি আছেন। প্রসঙ্গত, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করে গেছেন অন্তত ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, আগামী ২৩ শে মের পর তাঁরা সবাই বিজেপিতে যোগ দেবেন। যদিও ঘাসফুল শিবির ইতিমধ্যেই সেই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, বিপ্লব দেব, অর্জুন সিংয়ের মত গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতাদের বক্তব্য, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা বিধায়কের সংখ্যাটা নাকি মোটেও ১০০-এর নীচে নয়! তবে, গেরুয়া শিবিরের ওই যুবনেতা কথায়, শাসকদলের এই ‘হেভিওয়েট উইকেটের’ পতন ঘটলে, তাঁর সঙ্গেই নাকি অনন্ত ৬৫-৭০ জন বিধায়ক বেরিয়ে আসবেন! সবমিলিয়ে, গেরুয়া শিবিরের এই রাজনৈতিক জল্পনা ঘিরে ক্রমশ জমজমাট হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!