এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট বিজেপি নেতার পদত্যাগ, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের! শোরগোল গৌড়বঙ্গে!

হেভিওয়েট বিজেপি নেতার পদত্যাগ, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের! শোরগোল গৌড়বঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল সহ একাধিক সদস্য যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর এরপরই মালদহ জেলা পরিষদ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি হতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল যখন তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে, ঠিক তখনই আবার জেলা পরিষদের বিজেপিতে যাওয়া সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে রীতিমতো তৎপরতা অবলম্বন করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসার আগেই মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে দেখা গেল গৌড়চন্দ্র মন্ডলকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের দাবি, অনাস্থা ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে আগেভাগেই মান বাঁচাতে গৌড়বাবু পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন।

সূত্রের খবর, আগামী 8 তারিখে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে অপসারণের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তার আগেই সেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। বলা বাহুল্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গৌড়বাবু সহ মালদহ জেলা পরিষদের একাধিক তৃণমূলের সদস্য যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। পরবর্তীতে গৌড়বাবুকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হলেও তিনি পরাজিত হন। আর তারপর বিজেপিতে চলে যাওয়া সভাধিপতিকে সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসনের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়। যা নিয়ে আগামী 8 তারিখ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে তার মাঝেই সভাধিপতির নিজের পদ থেকে পদত্যাগ আদতে মুখ রক্ষার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয় নিয়ে গৌড়বাবুকে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “অনাস্থার আনতে চলেছে, সেটা বুঝতে পেরেই বিজেপি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিল। কিন্তু তাদের আবেদন যখন আদালত খারিজ করে দেয়, তখন গৌড়বাবু নিজেই পদত্যাগ করলেন। আমরা মালদাবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই জেলার জেলা পরিষদ সর্বাঙ্গীণ উন্নতির কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবে।” যদিও বা তৃণমূলের এই কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গৌড়চন্দ্র মন্ডল।

এদিন তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি চলছে। তাই সংক্রমণ এড়াতে আপাতত অনাস্থা বিষয়ক সভা যাতে মুলতুবি রাখা হয়, সেই জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু আদালত যখন বিষয়টিকে মান্যতা দিল না, তখন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” স্বাভাবিক ভাবেই অনাস্থা আনার আগেই মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ থেকে গৌরবাবুর পদত্যাগ নিয়ে এখন রীতিমতো সরগরম গৌড়বঙ্গের রাজনীতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গৌড়বাবুর সভাধিপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর তৃণমূল পরবর্তী সভাধিপতি নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!