বনধের দিন অনুপস্থিত থেকে সহ-শিক্ষকদের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত শিক্ষক রাজ্য হাওড়া-হুগলি September 16, 2018 গত ১০ ই সেপ্টেম্বর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনধ ডাকে জাতীয় কংগ্রেস। এই বনধের সমর্থন জানায় বাম দল সিপিআইএমও। এই বনধের ইস্যুকে নৈতিক সমর্থন জানালেও, বনধের সার্বিক বিরোধিতায় ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনধ মোকাবিলায় সেদিন সমস্ত সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কর্মীদের ছুটি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া বাতিল করে দেন। কিন্তু ঐদিন ‘বিশেষ কারনে’ স্কুলে যেতে পারেননি হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অঙ্কণ শিক্ষক বিশ্বনাথ দে। আর তাই পরের দিন তিনি স্কুলে পৌঁছাতেই তাঁর উপর নানাভাবে মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তাঁরই দুই সহ-শিক্ষকের দিকে। শাসকদল ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয়মহলে পরিচিত ওই দুই শিক্ষক – বিশ্বনাথবাবুকে নানাভাবে হেনস্থা করা শুরু করেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বিশ্বনাথবাবুকে রীতিমত গলা চড়িয়ে জানতে চাওয়া হয় – কেন তিনি বনধের দিন স্কুলে আসেননি? ধর্মঘটকে তিনি তাহলে কি সমর্থন করেন? মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় এমন জায়গায় পৌঁছায় যে ভেঙে পড়েন বিশ্বনাথবাবু। তারপরেও নাকি সেই হেনস্থা কোনো মাত্রায় কমে নি – ফলে এরপরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিশ্বনাথবাবু। স্কুলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি এরপর, প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে স্কুল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখান থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন – বিশ্বনাথবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত, উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য কলকাতায় নিয়ে গেলে ভালো হয়। ইতিমধ্যেই, খবর পেয়ে বিশ্বনাথবাবুর বাড়ির লোক তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশ্বনাথবাবুর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা ও তাঁর স্টেন্ট বসানো হয়। অন্যদিকে, সামগ্রিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন বিশ্বনাথবাবুর পরিবার। এমনকি সংশ্লিষ্ট দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে চিঠি দিয়েছেন স্কুলের বাকি শিক্ষকরাও। যদিও এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে, সংশ্লিষ্ট শাসকদল ঘনিষ্ঠ দুই শিক্ষকেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন সবাই বলেই সূত্রের খবর। আপনার মতামত জানান -