এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ইন্দোনেশিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সই সামনে আনলো দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য?

ইন্দোনেশিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সই সামনে আনলো দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতসপ্তাহে জাকার্তা থেকে ওয়েস্ট কালিমন্টান প্রদেশের পন্টিয়ানাকের দিকে যাওয়া ৬২ জনের একটি বিমান ওড়ার পরেই সমস্ত জনসংযোগ হারায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুটেরও উপরে থাকা ওই বিমানে ৫৬ জন যাত্রী ও ছ’জন কেবিন ক্রু ছিল। সেক্ষেত্রে বিমানে থাকা ৬২ জন যাত্রীরই মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়।

এর পরদিন সকালে এক মৎসজীবী সমুদ্রে বিমানটি পড়তে দেখেছে বলে দাবি করে। এরপর অনুসন্ধান প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। সেক্ষেত্রে পরে বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানা যায়। আর এবার সেই ব্ল্যাক বক্সে থাকা তথ্য জানতে পারা গেছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, শ্রীজাইয়া বিমানের বিমানের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) থেকে সফল ভাবে তথ্য ডাউনলোড করা সম্ভব হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে পরিবহন সুরক্ষা সংস্থা।

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ব্ল্যাকবক্স মূলত ফ্লাইট রেকর্ডার হিসেবে পরিচিত, যেটি একটি ইলেকট্রনিক্স রেকর্ডিং ডিভাইস হিসেবে বিমানের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা থাকে। এটির মাধ্যমে বিমান কখনো দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পড়লে সেই বিমান কি কারনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল তার সম্পর্কে এই রেকর্ডিং ডিভাইসের মাধ্যমে জানা যায়। সেই সঙ্গে এটি মূলত দু ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো এফডিআর বা ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার। আর অন্যটি হলো সিভিআর বা ককপিট ভয়েস রেকর্ডার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এফডিআর হল প্রতি সেকেন্ডে সংগ্রহ করা কিছু প্যারামিটারের গুচ্ছ বা নির্দিষ্ট কিছু প্যারামিটারের সংগ্রহ যা বিমানটির সাম্প্রতিক ইতিহাস বোঝায়। আর সিভিআর বলতে পাইলটদের কথোপকথন সহ যাবতীয় ঘটনার বিবরণসমুহ বা রেকর্ডিং বোঝায়। সেখানে ককপিটে থাকা এই ব্ল্যাক বক্সে পাইলটদের সমস্ত কথোপকথন রেকর্ডিং হিসেবে থাকে। ফলে সেখানে দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাক বক্স থেকে বিমানে দূর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

সেক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সের ডেটা সবই ভাল অবস্থায় রয়েছে বলেই জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিবহন সুরক্ষা সংস্থার প্রধান এখন ওই বক্সে থাকা তথ্যগুলি পরীক্ষা করে দেখছে বলেই জানিয়েছেন। রেকর্ডারটিতে বিমানের গতি, উচ্চতা এবং দিকনির্দেশ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানা গেছে শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ওড়া বিমানটি যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তখন বিমানের উভয় ইঞ্জিনই কাজ করছিল।

তবে ককপিট ভয়েস রেকর্ড জানার জন্য বিমানের অন্যান্য “ব্ল্যাক বক্স” খোঁজার জন্য সমুদ্রে অনুসন্ধান চলছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে পরিবহন সুরক্ষা সংস্থার প্রধানের তরফে বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে কেএনকেটি আন্তর্জাতিক মানের সাথে মিল রেখে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!