এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ইসলামপুর ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কি এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন প্রধানমন্ত্রী? বাড়ছে জল্পনা

ইসলামপুর ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কি এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন প্রধানমন্ত্রী? বাড়ছে জল্পনা


রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ছাত্রমৃত্যু নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে যখন সুর চড়াতে ব্যাস্ত বিজেপি, ঠিক তখনই সেই উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পা রাখায় যেন বাড়তি অক্সিজেন পেল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, রবিবার সিকিমের পাকইয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখান থেকেই পরের বিমানে সিকিমে যাওয়ার কথা তাঁর। আর এই স্বল্প সময়ে দলের শীর্ষনেতাকে পেয়ে রাজ্যের সমস্ত ঘটনা জানানোর সুযোগ মিস করতে চাননি উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতারা। সেইমত বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নামার আগেই সেখানে পৌছে যান বিজেপির 15 জনের একটি প্রতিনিধি দল।

যেখানে ছিলেন কালচিনের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন্দ্রনাথ বসু, শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী, শিলিগুড়ি পুরসভার দুই বিজেপি কাউন্সিলর মালতি রায়, খুশবু মিত্তাল। এদিন এই বাগডোগরা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সিকিম সফরের সঙ্গী হন দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াও। এদিকে শুধু বিজেপি সদস্যরাই নয়, এদিন বাগডোগরাতে প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলী বই উপহার দেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, এরপরেই রাজ্যে ঘটে যাওয়া ইসলামপুরের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান বিজেপি সদস্যরা। রাজ্যে তৃনমূলের কর্মীরা বিজেপির ওপর হামলা চালালেও বিজেপি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর মালতী রায় বলেন, “বাংলা বিজেপিকে চায়। কিন্তু বিজেপি কি বাংলাকে চায়?” তাৎপর্যপূর্নভাবে এই প্রশ্নের উত্তরে হাত নেড়ে তাতে সম্মতি জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর কি কথা হল সেই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, “বিজেপির কর্মীদের ওপর রাজ্যের শাসকদল ও পুলিশের লাগামহীন সন্ত্রাসের কথা জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।”  আর এখানেই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, শিলিগুড়ির কাউন্সিলর মালতীদেবীর প্রশ্নের উত্তরে হাত নাড়িয়ে এবার তাহলে কি এই বাংলার ইসলামপুরের ঘটনায় এবং রাজ্যের শাসকদলকে ঠেকাতে তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়ে দিলেন মোদী? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!