এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে এবার মোদী বিরোধী শক্তিরা জোট বাঁধার আশায়, চাপানউতোর তুঙ্গে

ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে এবার মোদী বিরোধী শক্তিরা জোট বাঁধার আশায়, চাপানউতোর তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই মুহূর্তে দেশের সবকটি বিজেপি বিরোধী শক্তি একজোট হওয়ার চেষ্টায়। তাঁদের সামনে লক্ষ্য এখন কেন্দ্রের মোদি সরকারের অবসান করা। সাত বছরের রাজত্বকালে মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে করোনা সহ বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়া সবকিছু নিয়ে মোদি সরকারকে কোণঠাসা করতে এবার তৈরি হচ্ছে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এতটা সক্রিয়তা দেশের বিরোধী দলগুলির মধ্যে বাজপেয়ির শাসনকালে দেখা যায়নি। তাহলে মোদির শাসনকালে এই সক্রিয়তার কারণ কি? সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে অতীতে বাজপেয়ী বা আদবানির সময়কালের বিজেপি বর্তমান বিজেপির থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল।

আর তাই বাজপেয়ীর বিজেপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে জয়ললিতা, নবীন পট্টনায়ক থেকে প্রফুল্ল মহন্ত কিংবা চন্দ্রবাবু নাইডু এমনকি ডক্টর ফারুক আব্দুল্লারও যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তবে রাজনীতিতে চিরবন্ধু বা চিরশত্রু বলে যে কিছু নেই, তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের। ঠিক এইরকমই একটি ছবি 67 সালের ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল। সেসময় যে ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআইয়ের সঙ্গে লড়াই ছিল তৎকালীন সিপিআইএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি এবং বাংলা কংগ্রেসের। একটা সময় মাঠে ময়দানে ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির সঙ্গে সিপিআইএমেরও সংঘর্ষ হতে দেখা গিয়েছিল। যদিও তারপরে যথারীতি প্রত্যেকেই শত্রু থেকে মিত্রে পরিণত হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলি পারস্পরিক চাপান-উতোর এর উর্দ্ধে উঠে যুক্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে সেই অতীতকাল থেকেই। কার্যত ইন্দিরা বিরোধিতা যখন প্রবলভাবে করেছিল কমিউনিস্টরা, সেসময় কিন্তু বহু ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ীকরা বা হিন্দু মৌলবাদীরা লাভবান হয়েছিল কিনা তাও এক সন্দেহজনক প্রশ্ন। অন্যদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে একটা সময় রাজীব গান্ধীর বিরোধিতা করে সমস্ত অকংগ্রেসী রাজনৈতিক দলগুলি প্রচ্ছন্নভাবে বিজেপির সঙ্গে সখ্য তৈরি করেছিল বিজেপির সঙ্গে। সেসময় অকংগ্রেসী দলগুলির কাছে কিন্তু আজকের উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী বিজেপি ধরা দেয়নি।

কিন্তু ধীরে ধীরে ছবি পাল্টেছে। আগামী 24 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সরাতে এবার পারস্পারিক শত্রুতা ভুলে নীতিগতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি যদি একটা ছাতার তলায় আসে তাহলে তা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে অত্যন্ত চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপিকে রুখতে এই মুহূর্তে সমস্ত অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। আপাতত দেখার, এই বোঝাপড়া কতদূর সফলতা লাভ করে এবং কার্যত মোদি সরকারকে ফেলতে দেশের সমস্ত মোদি বিরোধী শক্তি কতটা সক্রিয় হতে পারে সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!