এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট নেতার পদ যেতেই এবার দিদিকে বলোতে ঝড় তুলতে চলেছেন অনুগামীরা! তীব্র জল্পনা শাসকদলে

হেভিওয়েট নেতার পদ যেতেই এবার দিদিকে বলোতে ঝড় তুলতে চলেছেন অনুগামীরা! তীব্র জল্পনা শাসকদলে


করোনা আবহের সংকটকালে ও রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় যেন থামতেই চাইছেই না। এবার নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভায়। প্রশাসক বসানো নিয়ে এবার জলপাইগুড়ির প্রশাসক পদে চেয়ারম্যান মোহন বসুর জায়গায় কেন বিদায় ভাইস-চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে প্রশাসক পদে বসানো হলো তা নিয়ে লেগেছে চূড়ান্ত ঝামেলা। ঝামেলা এতদূর গড়িয়েছে, যেখানে মোহন বসুর অনুগামীরা এবার ঠিক করেছেন তারা ‘দিদিকে বলো’কে তাঁদের হাতিয়ার করে তাঁদের বার্তা দিদির কাছে পৌঁছে দেবে।

জলপাইগুড়ির বিদায়ী চেয়ারম্যান হলেন মোহন বসু। তাঁকে প্রশাসক পদে না বসানোর বিরোধিতা করছেন বিদায়ী কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ। অনেকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে খবর। তৃণমূলের অন্দরে এই নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসক হিসেবে চেয়ারম্যান মোহন বসু, ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো, সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং পৌলমী সাহাকে প্রশাসক পদে রাখার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল।

সেই প্রস্তাব কিভাবে নাকচ হয়, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মোহন অনুগামীরা। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিদায়ী কাউন্সিলর পৌলোমী সাহা জানান, “রাজ্যের সব পুরসভার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানকেই মুখ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ব্যাতিক্রম করা হয়েছে কেন? এর পিছনে অবশ্যই দলের মদত আছে। ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের ক্ষোভের কথা অবশ্যই জানাব।” এখানেই শেষ নয়, এই নিয়ে পুরসভার আরেক কাউন্সিলর মালা ভৌমিকও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন, “মোহন বসুর সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। এত দিন ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভাকে যিনি পরিচালনা করে আসছেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ জানাব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেব।” অন্যদিকে মোহন অনুগামীরা জানিয়েছেন, মোহন বসু অসুস্থ থাকলেও এই মুহূর্তে তিনি পুরোপুরি সুস্থ। এমনকি এদিন পুরমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও তিনি পুরসভার নিত্য কাজকর্মে যুক্ত আছেন আর সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব তাঁকে না দিয়ে কেন ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর দেওয়া হলো?

এ প্রসঙ্গে মোহন বসুজানিয়েছেন, “আমি দলের চক্রান্তের শিকার হয়েছি । দলে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে অনেকদিন ধরে। এই চক্রান্তেরই শিকার হতে হয়েছে আমাকে।” অন্যদিকে এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, “সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলের তরফে কিছু বলা ঠিক নয়। প্রশাসক হিসেবে যিনি কাজ করতে পারবেন, সরকার তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছেন।” অন্যদিকে দলের অন্দরেই এবার জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি এবার মোহন বসু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অন্য দলে পা বাড়াতে শুরু করবেন?

কেননা, লোকসভা নির্বাচনেই প্রমাণিত উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। আর তার অন্যতম কারণ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে মোহনবাবু বা তাঁর অনুগামীরা কোন মন্তব্য জানাননি। তবে তৃণমূলের উচ্চস্তরের দাবি, মোহন বসুর কাছ থেকে এরকম কোনো পদক্ষেপ উঠবেনা। তিনি এই সিদ্ধান্তের পেছনে আসল মনোভাব বুঝতে পারবেন। আপাতত জলপাইগুড়ি জেলার রাজনীতিতে যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে, সেদিকেই এখন লক্ষ্য থাকবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!