এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে মুখ খুললেন অধীর

জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে মুখ খুললেন অধীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি সংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জাতীয় সংগীতের কিছু শব্দের বদলের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ‘জন গণ মন’ এর পরিবর্তে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ এর গাওয়া একটি গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করতে। এবার জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর জাতীয় সংগীত সম্পর্কে ধারণাকে সংকীর্ণ বলে অভিযুক্ত করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, তিনি রাজ্যসভার সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর চিঠির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করাতে চান। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ভারতের জাতীয় সংগীত জন গণ মন এর কিছু শব্দের বদল চেয়েছেন। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ এর একটি গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন গণ মন এর বদল চেয়েছেন। যা ভারতের গণপরিষদের ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানিয়েছেন যে, ভারতের জাতীয় সংগীতের সঙ্গে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের বাস্তবতার প্রতিফলন নেই। এখানে ‘সিন্ধু’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু সিন্ধু এখন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। সুব্রমন্যম স্বামী জানিয়েছেন যে, এই গানটি ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। কিন্তু তিনি কার উদ্দেশ্যে এটি লিখেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ” স্বামীর চিঠি আত্মায় ও বোধগম্যতায় সংকীর্ণ, বিভাজনকারী এবং এই বিষয়ে যে গভীর জাতীয় আবেগ রয়েছে তাকে লঙ্ঘন করছে। ” তিনি অভিযোগ করেছেন যে, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ভারতীয় জাতীয় সংগীতের পেছনে থাকা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইডিয়া অফ ইন্ডিয়া বা বহুত্ববাদী, মানবতাবাদী, সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর এই গানে।

কিন্তু, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর জাতীয় সংগীত সম্পর্কে ধারণা অত্যন্ত সংকীর্ণ। ভারতের বর্তমান অঞ্চলগত ধারণা্টিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। তাই তিনি ধরে নিয়েছেন যে, ১৯৪৭ সালের পরবর্তী কালে ভারতের সঙ্গে সিন্ধু শব্দটি যুক্ত করা যায় না। অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, ভারত একটি আঞ্চলিক ভূমি মাত্র নয়, ভারত একটি সংস্কৃতি ও ধারণার সমুদ্র যা অসীম বহুত্ববাদকে একসাথে নিখুঁত সম্প্রীতিতে যুক্ত করে দিতে সক্ষম।

অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, গুরুদেব রবীনাথ ঠাকুরকে এখনো মানুষ ভালবাসে ও তাঁকে স্মরণ করে। তিনি ভারতীয় জাতির গর্ব ও বিশ্বজনীন আইকন। প্রাথমিকভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন মানবতাবাদী চিন্তাবিদ। তাঁর জনগণমন মানবতাবাদের মূল চিত্রকে তুলে ধরতে পেরেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!