এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে? তা স্পষ্ট করলো রাজ্য সরকার

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে? তা স্পষ্ট করলো রাজ্য সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলির যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ বিপাকে পড়েছেন। রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ বাড়ি ও ১.৬ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় চলে গেছে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি সাহায্য দেয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন, দুয়ারে ত্রাণ পরিকল্পনার মাধ্যমে আগামী ১ লা জুলাই থেকে ৮ ই জুলাই এর মধ্যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণের অর্থ পৌঁছে দেয়া হবে।

গতবছর আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ দানের সময়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছিল। তাই এবার এ বিষয়ে বিশেষ সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, যশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প চালু করা হবে। এই প্রকল্পে যশ কবলিত এলাকায় সরকারি আধিকারিকেরা ক্যাম্প করবেন। আগামী ৩ রা জুন থেকে শুরু করে ১৮ ই জুন পর্যন্ত এই ক্যাম্প করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সরকারের এই ক্যাম্পে গিয়ে সাধারণ মানুষেরা তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আধিকারিকদের জানাতে পারবেন। বা তাদের চিঠি দিয়েও জানাতে পারবেন। এরপর আগামী ১৯ সে জুন থেকে শুরু করে ৩০ সে জুনপর্যন্ত রাজ্যর সরকারি আধিকারিকেরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবেন। ক্ষয়ক্ষতির যে পরিমাণ নথিভুক্ত করা হয়েছে, তার সত্যতা বিচার করবেন। যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয়। তবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকারি আধিকারিকদের রেইকি ছাড়া অন্য কারোর কথা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাদের রেইকি হয়ে গেলে আগামী ১ লা জুলাই থেকে শুরু করে ৮ ই জুলাইয়ের মধ্যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাংক একাউন্টে সরকারি অর্থ পৌঁছে দেওয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্তদের কাকে কত টাকা অর্থসাহায্য দেয়া হবে? তা স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যশের কারণে ফসল নষ্ট হলে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। গবাদি পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ এর মৃত্যু হলে ৩২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ভেড়া, ছাগল, শুয়োর মারা গেলে ৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কৃষি বা বহনের কাজে ব্যবহৃত ষাঁড়ের মৃত্যু হলে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বাছুর মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে ১৬ হাজার টাকা।

যশের কারণে ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি হলে ৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ঘরবাড়ি ধুলিস্যাত হলে ২০০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। পানের বরজের ক্ষতি হলে ৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। মৎস্যজীবীদের নতুন হাড়ি কিনতে ৩০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। মাছ ধরার জাল কিনতে ২৬০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। নৌকোর আংশিক ক্ষতি হলে ৫০০০ টাকা দেয়া হবে। নতুন করে নৌকো কিনতে হলে ১৯ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হস্তশিল্পীদের যন্ত্রপাতি কিনতে ৪১০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। গুদামঘর, দোকান ঘর, মজুত ঘরের ক্ষতি হলে প্রতি ইউনিট ১০০০০ টাকা করে দেয়া হবে। দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের মাধ্যমে এই ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরাসরি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!